বিজেপি শিবিরে মহাধাক্কা, মমতার এক কৌশলেই তৃণমূল কংগ্রেসে ‘ঘরওয়াপসি’র ধুম বাঁকুড়ায়
উপনির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূলে ফের আচ্ছে দিন আসতে চলেছে। বিজেপি ভেঙে তৃণমূলে ফেরার ধুম পড়ে গিয়েছে জঙ্গলমহলে। লোকসভায় জঙ্গলমহল হাতছাড়া হয়েছিল।
উপনির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফের আচ্ছে দিন আসতে চলেছে। বিজেপি ভেঙে তৃণমূলে ফেরার ধুম পড়ে গিয়েছে জঙ্গলমহলে। লোকসভায় জঙ্গলমহল হাতছাড়া হয়েছিল। এবার সেই জঙ্গলমহলেরই বাঁকুড়ায় ভাঙন ধরল পদ্ম শিবিরে। রবিবার বাঁকুড়ার ওন্দা, রতনপুর ও তালডাংরার সাতমৌলি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন নেতারা।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার ধুম
লোকসভা নির্বাচনের পর কিছুদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার ধুম পড়েছিল। সেই প্রবণতা রুথে এখন উলট পুরান শুরু হয়েছে জেলায় জেলায়। শনিবার পুরুলিয়ার হুড়া অঞ্চলে বিজেপি ও নির্দল ছেড়ে চার পরিবার যোগ দিয়েছে তৃণমূল। এবার গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরল বাঁকুড়ায়।
দুটি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ বাঁকুড়া
উল্লেখ্য, এই জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্র-সহ জঙ্গলমহলের সমস্ত কেন্দ্রই তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে জয়যুক্ত হয়েছিল বিজেপি। তারপর কামব্যাক করতে কতকগুলি কৌশল নিরূপণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয় বাঁকুড়াকে। তারপরই সাফল্য মিলতে শুরু করে।
পুরনো বিজেপি নেতারাও তৃণমূলে
বিধায়ক অরূপ খাঁকে বাঁকুড়া জেলা সভাপতির পদ থেক সরিয়ে বাঁকুড়ায় সভাপতি করা হয় শুভাশিস বটব্যাল আর বিষ্ণুপুরের সভাপতি করা হয় শ্যামল সাঁকরাকে। তারপরই পুরনো কর্মীরা ফিরতে শুরু করে। অনেক পুরনো বিজেপি নেতারাও তৃণমূলে নাম লেখাতে শুরু করে বাঁকুড়া ও বিঞ্চপুরে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাঁরা
রবিবার বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সহসভাপতি পিনাকি দাসের নেতৃত্বে রতনপুর থেকে ১১ জন এবং ওন্দায় বিশ্বজিৎ মাহাতো-সহ ৮ জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ।
তালডাংরাতেও ভাঙন বিজেপিতে
একইদিনে তালডাংরার সাতমৌলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তোতন লায়েক ও সুকুমার লায়েকের নেতৃত্বে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কর্মী-সমর্থকরা। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন। এবং স্বাগত জানান তৃণমূলে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের নতুন প্রকল্প : 'গরু সাফারি'