বিজেপি নেতার মঞ্চে তৃণমূলের সাংসদ! জল্পনা বাড়িয়ে ‘রাষ্ট মঞ্চ’-এ ঐক্যের সুর
বিজেপিতে ক্ষোভ বাড়ছে। কেন্দ্রের শাসকদলের বিক্ষুব্ধদের সেই ভিড়ে সামিল হচ্ছেন অন্য দলের নেতা-নেত্রীরাও। ২০১৯-এর আগে দিল্লির রাজনীতিতে হঠাৎ পালা বদলের ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে।
বিজেপিতে ক্ষোভ বাড়ছে। কেন্দ্রের শাসকদলের বিক্ষুব্ধদের সেই ভিড়ে সামিল হচ্ছেন অন্য দলের নেতা-নেত্রীরাও। ২০১৯-এর আগে দিল্লির রাজনীতিতে হঠাৎ পালা বদলের ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। যত ভোট এগিয়ে আসছে, বিজেপিতে ফাটল বাড়ছে। আর সেই ফাটলের ফাঁক গলে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে দলেরই একাংশ।
প্রতিটি বিরোধী ও শাসকদলের বিদ্রোহীদের কাছে ডাক এসেছিল বিজেপি নেতার তরফে। যিনি একটা সময়ে বিজেপির মন্ত্রিসভায় অর্থ ও বিদেশ মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন, তিনিই আজ মোদী বিরোধী মুখ। তিনি আর কেউ নন, যশবন্ত সিনহা। খাস রাজধানীর বুকে তিনি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নীতি নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। শুধু এখানেই শেষ নয়, তিনি 'রাষ্ট্র মঞ্চ' নামে নতুন একটি সংগঠনও খুলে ফেললেন।
আর তাঁর এই মোদী বিরোধী কর্মসূচিতে সামিল হলেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনিও গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কৃষক নীতির বিরুদ্ধে। আর মোদী বিরোধী বিজেপি নেতার এই মঞ্চে হাজির হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।
এছাড়াও ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রেণুকা চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসের মজিদ মেমন, আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং, গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুরেশ মেহতা, জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা পবন ভার্মা, আরএলডি জয়ন্ত চৌধুরী, প্রাক্তন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোম পাল ও হরমোহন ধাওয়ান প্রমুখ।
এদিন
বিজেপি
নেতা
যশবন্ত
সিনহা
মোদীর
বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ
ঘোষণা
করেন।
বলেন,
'নরেন্দ্র
মোদীর
সরকার
নিজেদের
স্বার্থপূরণে
ব্যস্ত।
সাজানো
পরিসংখ্যান
তুলে
ধরে
তাঁরা
স্বার্থপূরণ
করে
চলেছেন।
কৃষকদের
ভিখারীর
পর্যায়ে
নামিয়ে
এনেছেন।
তাই
এই
নীতিহীন
সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে
সবাইকে
এক
যোগে
লড়তে
হবে।'
দলমত
নির্বিশেষে
সকলকে
এক
মঞ্চে
আসার
ডাক
দেন
তিনি।
যশবন্ত
সিনহা
বলেন,
'আজ
যে
রাষ্ট্র
মঞ্চ
গঠন
হল,
তা
কোনও
রাজনৈতিক
দল
নয়,
এটি
একটি
অরাজনৈতিক
অ্যাকশন
গোষ্ঠী।
এই
সংগঠন
জাতীয়
ইস্যুগুলিতে
সামনে
তুলে
এনে
সাধারণ
মানুষের
জন্য
লড়াই
করবে।
মোদী
সরকারে
আর্থিক
ও
বিদেশ
নীতিরও
সমালোচনা
করেন
প্রাক্তন
বিজেপি
মন্ত্রী।
তাঁর কথায়, বিজেপিতে সবাই ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় ভয় পেলে হবে না, সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হতে হবে। বিচারের ভার এসে পড়েছে জনতার হাতে। জনতাকেই এই নীতিহীনতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে, বর্জন করতে হবে নীতিহীন স্বার্থপরায়ণ সরকারকে।