মমতা ‘সুর্পণখা’! অশালীন মন্তব্যে ফের শিরোনামে বিজেপি নেতা, মোদীকেও বুড়ো আঙুল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপি নেতার কুরুচিকর মন্তব্য চলছেই। এবার উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ‘সুর্পণখা’ বলে আক্রমণ করলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপি নেতার কুরুচিকর মন্তব্য চলছেই। এবার উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে 'সুর্পণখা' বলে আক্রমণ করলেন। মমতাকে 'সুর্পণখা' বলেই ক্ষান্ত হননি বিজেপি নেতা সুরেন্দ্র সিং, তিনি আরও বলেন, বাংলা শীঘ্রই জম্মু-কাশ্মীরে রূপান্তরিত হবে। আর বাংলা থেকে চলে যেতে হবে হিন্দুদের। তাঁর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস-সিপিএম মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে চায়! দু-দলের প্রস্তাবে জোর জল্পনা ]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপি নেতাদের চুপ থাকতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, 'কোনও কুরুচিকর মন্তব্য নয়, ক্যামেরা দেখেই বেশি কথা বলবেন না। নীরব থাকতে শিখুন।' কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই পরামর্শকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অশালীন হলেন বিজেপি নেতা সুরেন্দ্র সিং।
সুরেন্দ্র সিং এদিন দাবি করেন, 'বাংলার হিন্দুরা আদৌ নিরাপদ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছে। রাস্তায় পড়ে মারা যাচ্ছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়োর কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন। বাংলায় সুর্পণখার ভূমিকা পালন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
[আরও পড়ুন: ফেসবুকে মমতার ব্যঙ্গচিত্র ভাইরাল! সুপার-ইম্পোজ ছবি পোস্ট করে শ্রীঘরে অভিযুক্ত]
তিনি বলেন, 'এখনই এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিজেপিকেই সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে জম্মু-কাশ্মীরে পরিণত হবে বাংলা। বাংলার বাড়ি হিন্দুদের হলেও, সেই বাড়িতে থাকবে মুসলিমরা।' শুধু এবারই নয়, এর আগেও নানা অশালীন মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বিজেপির এই নেতা।
তিনি বলেছিলেন ২০২৪ সালে ভারত সম্পূর্ণ হিন্দু রাষ্ট্রে বদলে যাবে। তারপর বলেছিলেন, কেউ যদি বন্দেমাতরম না বলেন, তাঁরা ভারতীয় নন, তাঁরা আসলে পাকিস্তানি। উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডেও কুলদীপ সিং সেঙ্গারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এক ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিন সন্তানের মাকে কেউ ধর্ষণ করতে পারে? এমন অশালীন মন্তব্য। এবার তিনি টার্গেট করলেন বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
[আরও পড়ুন:হোয়াটস অ্যাপে মান্যতা, ই-নোমিনেশনে নয়, অনলাইনের আশা দুরাশাই বিরোধীদের]