তাঁর ডিএনএ-তে রয়েছে আরএসএস! পিকের লোক রাজ্য বিজেপিতে, বিস্ফোরক অভিযোগ তথাগত রায়ের
বিজেপির (BJP) সঙ্গে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারেন, কিন্তু আরএসএস (RSS) তাঁর ডিএনএতে (DNA)। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় (tathagata)। পিকে (Prashant Kishor) লোক রাজ্য বিজেপিতে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
পুজোর আগে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, কমছে সুস্থতার হার! কলকাতায় আক্রান্ত রেকর্ড সংখ্যক

মৃত্যু পর্যন্ত আরএসএস-এ থাকব
তথাগত রায় বলেছেন, যখন তিনি শাখায় যোগদান করেন, তখন থেকেই আরএসএস-এর প্রতি আকৃষ্ট হন। তাঁর এই আকৃষ্ট হওয়াকে নৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে সঠিক বলে মনে করেন। তিনি বলেছেন আরএসএস তাঁর ডিএনএ-তে। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি আরএসএস-এর অংশ হয়ে থাকবেন। আর মৃত্যুর পর কিছু অর্থ আরএসএস-এর জন্য রেখে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।

আরএসএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ
তথাগত রায় জানিয়েছেন, যেদিন জম্মু ও কাশ্মীরে হজরতবাল মসজিদের ঘটনা ঘটে( ১৯৬৩-র ২৭ ডিসেম্বর) সেদিন থেকে তিনি আরএসএস-এর প্রতি অনুরক্ত হয়েছেন। শরণার্থীরা যে অত্যাচার সহ্য করেছিলেন, তাতে তাঁর সমালোচনার ভাষা ছিল না।

দলকেই ঠিক করতে হবে কবে বাংলার জন্য কাজ করব
রাজ্যপালের দায়িত্ব থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি রাজ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। নিজের বিষয় নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছাড়াও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁর আগ্রহের মধ্যে রয়েছে বিজেপির আদর্শ প্রচার করা। পাশাপাশি ২০২১-এর নির্বাচনের আগে বাংলায় বিজেপির বার্তা প্রচার করাও তাঁর আগ্রহের মধ্যে রয়েছে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এখন দলকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কখন তাঁকে বাংলার কাজে ব্যবহার করা হবে।

রাজ্য বিজেপিতে বেনোজল
রাজ্য বিজেপিতে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যাতে তাঁর সন্দেহ বেনোজল ঢুকে পড়েছে। সেইসব লোকেরা প্রশান্ত কিশোরের কথা অনুযায়ী, তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। কেননা পিকে ২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে দায়িত্ব নিয়েছেন। এই দায়িত্বের জন্য তিনি কোটি কোটি টাকা নিচ্ছেন। ফলে সেই সব বেনোজল রাজ্য বিজেপির পক্ষে ভাল নয়। বিজেপি এই ধরনের বেনোজলকে খুব তাড়াতাড়ি তাড়াবে বলেও তিনি মনে করেন।

তথাগত রায়ের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক
১৯৯০ সালে রেলের চাকরি ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তথাগত রায় ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন। সেই সময় রাজ্যে বিজেপিকে কার্যত অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজতে হত। একটা সময়ে তিনি বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যও ছিলেন। ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তিনি ত্রিপুরার রাজ্যপাল ছিলেন। এরপর ২০১৮-র অগাস্ট থেকে তিনি মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। যার সমাপ্তি হয় ২০২০-র ১৯ অগাস্ট।