নির্বাচনে জিততে তৃণমূল এনেছে 'ভোটের কার্ড'! 'সিপিএম'-এর পথে ঘাসফুলের মোকাবিলা, জানালেন শুভেন্দু
নির্বাচনে জিততে তৃণমূল এনেছে 'ভোটের কার্ড'! 'সিপিএম'-এর পথে ঘাসফুলের মোকাবিলা, জানালেন শুভেন্দু
নিজের পুরনো দল তথা রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে এবার স্বাস্থ্যসাথী (swasthasathi) কার্ডকেই বেছে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) । এদিন তিনি তাঁর কেশপুরের সভা থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে তৃণমূলের ভোটের কার্ড হিসেবে বর্ণনা করেন। পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের (trinamool congress)মোকাবিলার রাস্তাও বাতলে দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৃণমূলের ভোটের কার্ড
গত নভেম্বরে রাজ্যের সব মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর অন্তর্ভুক্ত করে, নতুন কার্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ডিসেম্বরের শুরু থেকেই কাজ শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ এই কার্ড পেয়ে উপকৃত হয়েছে আবার অনেকে এই কার্ড নিয়ে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন। তবে তৃণমূলের দাবি এই কার্ড সাধারণের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং তার প্রভাব ভোটের বাক্সেও পড়বে। যা নিয়েই এদিন কেশপুরের সভা থেকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডকে তৃণমূলের ভোটের কার্ড বলে কটাক্ষ করেছেন।
পচা মালে কাটা ফুটছে
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পরে ঘাসফুল শিবির থেকে বলা হয়েছে পচা মাল বেরিয়ে গিয়েছে। এদিন শুভেন্দু অধিকারী তারই জবাব দিয়েছেন, তিনি বলেছেন, পচা মাল বেরিয়ে গিয়েছে বলা হচ্ছে, কিন্তু পচা মালে পায়ে কেন কাঁটা ফুটছে। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, নেত্রীর পায়ে কাটা ফুটছে।
পুলিশ যার সঙ্গে, কেশপুর তাদের সঙ্গে
কেশপুরের সভা থেকে এদিন তিনি বলেন পুলিশ যাদের সঙ্গে কেশপুরও তাদের সঙ্গে। এব্যাপারে তিনি বাম শাসনের পাশাপাশি তৃণমূলের শাসনকালের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কেশপুর থেকে তৃণমূল ১ লক্ষ ৮ হাজার ভোটের লিড নিয়েছিল। সেখানে ভোট হয়নি। যার জেরেই হেরে গিয়েছিলেন ভারতী ঘোষ। না হলে ঘাটাল বিজেপিই জিতত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণ প্রতিরোধের ডাক
এদিন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন। একটা সময়ে মাওবাদীদের ঠেকাতে নন্দীগ্রামই হোক কিংবা জঙ্গলমহল গণ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছিল সিপিএম তথা বামপন্থীরা। এবার সেই পথেই হাঁটলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন কেশপুরের সভায় ভিড় হয়েছিল বেশ। সেই ভিড়ে ঠাসা সমাবেশে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূল ভীতু পার্টি। এদের দেখে একদম ভয় পাবেন না। , চোখ দেখালে আঙুল দেখান। সঙ্গে মোটা ডাণ্ডা রাখার পরামর্শও দেন তিনি।
বুদ্ধবাবু সৎ, লক্ষ্মণ শেঠ হার্মাদ
আগেকার সভাগুলির মতোই এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বাম শাসনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বামেদের সময়ে প্রতিবছর এসএসসি হতো। পিএসসির পরীক্ষা হতো। কিন্তু তৃণমূলের শাসনে তা উঠে গিয়েছে। প্রায় সাড়ে পাঁচলক্ষ সরকারি পদ অবলুপ্ত করে অস্থায়ী কর্মী নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, বুদ্ধবাবু সৎ ছিলেন, আর লক্ষ্মণ শেঠ ছিলেন হার্মাদ।
বিজেপির পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর, আগুন! বর্ধমানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি