রাজনৈতিক রং বাদ পড়ল নতুন গঙ্গাসাগর মেলার নতুন কমিটিতে, আগামীকাল বাবুঘাট পরিদর্শনে যাচ্ছেন মমতা,
রাজ্যের আপত্তিতে অনুমোদন হাইকোর্টের, গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটি থেকে বাদ পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী
গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রথমের কমিটিতে রাখা হয়েছিল নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। কিন্তু তাতে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার। সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়েই কলকাতা হাইকোর্ট নতুন করে ২ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে। এবং তার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আগামিকাল বাবুঘাট পরিদর্শনে যাচ্ছেন মমতা।
নতুন কমিটি গঠন
গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারিতে নতুন কমিটি গঠন করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আজ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের আবেদনকে মান্যতা দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। ২ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ও ওয়েস্ট বেঙ্গল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি রাজু মুখোপাধ্যায়কে। বাদ দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। রাজ্য সরকারের আপত্তিতেই মূলত শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মামলাকারীদের আপত্তি
শুভেন্দু অধিকারীেক যুক্ত করে প্রথমে গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারিতে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু মামলাকারীদের অনেকেই তাতে আপত্তি জানিয়ে আদালতে বলেছিল, শুভেন্দু অধিকারীকে কমিটিতে রাখলে রাজনৈতিক রং লাগতে পারে। যাঁরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন তাঁদের নিয়ে কমিটি গড়ার কথা বলেছিলেন মামলাকারীদের অনেকে। চিকিৎসকদেরও এই কমিটি থেকে দূরে রাখতে বলা হয়েছিল। কারণ সরকারি চিকিৎসকরা থাকলেও রাজনৈতিক রঙ থাকার সম্ভাবনা রয়ে যায়। সেকারণেই আগের কমিটি পুরো ভেঙে দিয়ে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় এমন ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়।
নোটিফায়েড এলাকা সাগরদ্বীপ
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে কীভাবে গঙ্গাসাগর মেলা হবে সেটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের। কলকাতা হাইকোর্ট সেকারণে সাগরদ্বীপ এলাকাকে নোটিফায়েড এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। গঙ্গাসাগর মেলার ২ করোনা টিকা ছাড়া কেউ যেতে পারবে না বলে নির্দেশিকায় জানিয়েছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যাঁরা যাবেন তাঁদের করোনা টিকার দুটি ডোজ থাকলেও আরটি-পিসিআর টেস্ট করতেই হবে। সেটা বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকায় জারি করা হয়েছে। যেখানে ৫ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় সাগরমেলায়। সেখানে কীভাবে ৫০ জনকে নিয়ে মেলা হবে সেটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের।
মকরস্নানে নিষেধাজ্ঞা
এদিকে বাংলার পথে না হেঁটে একেবারেই উল্টোপথে হেঁটেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। মকর স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোনও ভাবেই সেদিন কেউ গঙ্গাস্নান করতে পারবেন না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। এককথায় বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড বাংলাকে পথ দেখিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সেদিন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে কার্ফু জারি করা হবে। নাইট কার্ফুও কড়া করা হবে। যাতে ভোর রাতে কেউ মকরস্নান করতে না পারেন তার উপরেও নজরদারি চালানো হবে।