রাত ১২টার আগেই নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী! শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতার
সামনেই নির্বাচন। ফলে নন্দীগ্রাম নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে। অন্যবারের থেকে যেন একটু বেশিই। অন্যবার থাকেনি এত প্রচার। এবার শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari) সঙ্গে নন্দীগ্রাম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূলও (trinamool congress)। এই পরিস্থিতিতে রাত বারোটা বাজার আগেই নন্দীগ্রামে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।

বাধা পড়েছে শীত, পৌষেও চড়চড়িয়ে বাড়ছে উষ্ণতার পারদ! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার খবর একনজরে

নন্দীগ্রামে সূর্য ওঠার আগে আসবেন, ছিল ইঙ্গিত
শুভেন্দু অধিকারী যে ৭ জানুয়ারি সূর্য ওঠার আগে আসবেন, তা ইঙ্গিত করেছিলেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই নন্দীগ্রামের কর্মসূচিতে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন ৭ জানুয়ারি সূর্য ওঠার আগে সবাই নন্দীগ্রামে যাবেন কিনা। সবাই হ্যাঁ বাচক উত্তর দিয়েছিলেন। সেই মতো রাত বারোটা বাজার আগেই নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। ভরত মণ্ডল, শেখ সেলিম, বিশ্বজিৎ এই তিন শহিদকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। ভূমি উচ্ছেদ কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তিনি সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রতিবছরই এই দিনে শুভেন্দু অধিকারী ভোরেই যান নন্দীগ্রামে। এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি।

নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা স্মরণ
সেখানেই তিনি ২০০৭ সালের ৮ জানুয়ারির কথা তুলে আনেন। শুভেন্দু অধিকারী জানান, ওই দিন তিনি নিজের হাতে শেখ সেলিমের দেহ তুলেছিলেন। নন্দীগ্রামে তাঁর এই কর্মসূচিতে তিনি প্রতিবছরই যান আর এই কর্মসূচিকে তিনি সব কিছুর ঊর্ধ্বে বলেই মনে করেন বলে জানিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী জানান, যতদিন তিনি বাঁচবেন, ততদিন নন্দীগ্রামের বিশেষ দিনে হাজির থাকবেন।

তৃণমূলকে পাল্টা হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
গভীর রাতে নন্দীগ্রামে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই বলেছিলেন, শহিদ বেদির প্রাঙ্গণে শুভেন্দু অধিকারীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রচার করা হয়েছিল, শহিদ বেদিতে মালা দিতে আসতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী। যা কখনই সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রক্ত চক্ষু দেখিয়ে তাদের আটকানো যাবে না। নন্দীগ্রামের কর্মসূচি থেকেই শুভেন্দু অধিকারী জানান, ৭ জানুয়ারি নেতাই গণহত্যার ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানেও তিনি যোগ দিতে যাবেন।

তৃণমূলকে কটাক্ষ
৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তৃণমূল জেলা কোঅর্ডিনেটক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেই কর্মসূচি বাতিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে ঠিক হয় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি সেখানে সভা করবেন। এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, আগে অনেকেই আসতেন না এসব দিনে। কিন্তু সামনে ভোট থাকায় আসছেন। সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তাঁরা কেন আসছেন, সবাই বুঝতে পারছেন।