গণনায় কারচুপির অভিযোগ এবার শুভেন্দুর, জানালেন ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা
গণনায় কারচুপির অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনকে (election commission) কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি (bjp) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) । এদিন তিনি অভিযোগ করেন, সব জায়গায় ভোটগণনা সুষ্ঠুভাবে হয়নি। গণনায় কমিশন ফেল করে
গণনায় কারচুপির অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনকে (election commission) কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি (bjp) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) । এদিন তিনি অভিযোগ করেন, সব জায়গায় ভোটগণনা সুষ্ঠুভাবে হয়নি। গণনায় কমিশন ফেল করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। বিজেপির কম সংখ্যক আসন পাওয়ার কারণ এই ভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির ধরনা
ভোট গণনার দিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দলের কর্মী-সমর্থকদের ওপরে হামল হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে। এই অভিযোগে এদিন বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেনে ধরনায় বসেন বিজেপি রাজ্য নেতারা। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও ছিলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত, শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন অন্য অনেক বিধায়কও।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ
এদিন মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কিন্তু গণনার দিন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, অনেক গণনা কেন্দ্রে বিজেপি এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যার জেরে গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করেছে তৃণমূল। তিনি বলেন, এই কারণেই বিজেপি ১০০-র অনেক কম আসন পেয়েছে। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক দাবি করেন, সরকার গড়তে না পারলেও বিজেপি অনেক বেশি আসন পেতো।
এজেন্টরা ফলাফল দেখতে পায়নি
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেছেন, অনেক জায়গাতেই বিজেপির এজেন্টরা ফলাফল সঠিকভাবে দেখতে পর্যন্ত পায়নি। গণনা কেন্দ্রে করোনা বিধি মেনে একটি ঘরে সাতটি করে টেবিল রাখা হয়েছিল। আর প্রতিটি টেবিলের মধ্যে ছয় ফুটের দূরত্ব রাখা হয়েছিল। যার জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এব্যাপারে তিনি নির্বাচন কমিশনকেই অভিযুক্ত করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, গণনা সঠিক হলে বিজেপি আড়াই কোটির বেশি ভোট পেতো। পুনর্গণনার দাবি নিয়ে বিজেপি আদালতে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সব ইভিএম-এর আবার গণনার দাবি তুলেছেন তিনি। বিজেপির কোনও নেতা এই প্রথমবার কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন।
হারার পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা
২ মে গণনায় হারার পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, পুনর্গণনার দাবি নিয়ে নিয়ে আদালতে যাবেন। রিটার্নিং অফিসারকে বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
'ব্যতিক্রমী ঘটনা' ঘটালেন মমতা, কেন তৃণমূলকে লিমিটেড কোম্পানি বলেছিলেন, শপথের দিনেই কটাক্ষ শুভেন্দুর