বাংলার ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি যেন শুনতে পায় দিল্লি, মমতাকে নিশানায় ‘আওয়াজ’ স্মৃতির
বাংলার ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি যেন শুনতে পায় দিল্লি, মমতাকে নিশানায় ‘আওয়াজ’ স্মৃতির
জয় শ্রীরাম ধ্বনির অপমান যাঁরা করেন, তাঁদের দলে দেশভক্ত নেই। হাওড়ার ডুমুরজলার সভা থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় বাংলাকেই মাধ্যম করলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। পরিষ্কার বাংলায় তিনি আওয়াজ তুললেন, বাংলা থেকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে।
লকডাউনে লুঠ করেছে তৃণমূল
স্মৃতি ইরানি বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে এদিন বক্তব্য রাখেন। তিনি বাংলায় বলেন, চুপচাপ এবার পদ্মফুলে ছাপ দিতে হবে। তার কারণ এই সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। লকডাউনে লুঠ করেছে তৃণমূল। চাল-ডাল সব চুরি করেছে। তৃণমূল সমর্থকরাই শুধু খাদ্যের কুপন পেয়েছে। গরিবরা যখন খাবার চেয়েছে, দিদির পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করেছে।
মমতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন স্মৃতি ইরানির
এদিন ডুমুরজলার সভায় স্মৃতি ইরানি এদিন মমতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, দিদি গরিবের প্রতি আপনি কেন এই অন্যায়টা করলেন। করোনা এক্সপ্রেস নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। আম্ফানের টাকা লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ করে স্মৃতি ইরানি বলেন, আমি প্রশ্ন করতে চাই, বাংলার কৃষকরা আপনার কী ক্ষতি করেছে। আপনি কেন দু-বছর কৃষকদের কৃষি সম্মান নিধি দিলেন না।
যেখানে দুর্নীতি, সেখানেই টিএমসি
স্মুতি ইরানি বলেন, রাজ্যে এমন একটা সরকার চলছে, যে সরকার দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। যেখানে দুর্নীতি, সেখানেই টিএমসি। চাল চুরিতে টিএমসি, ডাল চুরিতে চিএমসি, ত্রিপল চুরিতে টিএমসি। আর সেই কারণেই বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এবার পরিবর্তন আসছে। আসছে বিজেপি।
‘জয় বাংলা’র পাল্টা ‘জয় ভারত’
জয় শ্রীরাম আওয়াজ তুলে তিনি বক্তৃতা শুরু করেছিলেন। আর বক্তব্য শেষ করলেনও সেই জয় শ্রীরামে। তার আগে শুধু বললেন, জয় হিন্দ, জয় ভারতও। প্রকারান্তরে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে গেলেন জয় শ্রীরাম ও জয় ভারত দিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী জয় শ্রীরামের বিরোধিতা করে জয় হিন্দ-জয় বাংলা বলেছিলেন ভিক্টোরিয়ায়। এবার তার অনুকরণেই নয়া স্লোগান জয় ভারত।
মুকুল- শুভেন্দুর উপস্থিতিতে বিজেপির মঞ্চে ভুল 'জাতীয় সঙ্গীত'! বিস্ফোরক অভিষেক