তৃণমূলে কাটমানি খাওয়া নেতারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে! বিক্ষোভ দেখিয়ে কোপে নেতা
ওরা তৃণমূলে কাটমানি খেত। এখন হালে পানি না পেয়ে বিজেপিতে এসেছে। পাঁচ তৃণমূলীর দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই বিক্ষোভে উত্তাল হল জলপাইগুড়ি।
ওরা তৃণমূলে কাটমানি খেত। এখন হালে পানি না পেয়ে বিজেপিতে এসেছে। পাঁচ তৃণমূলীর দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই বিক্ষোভে উত্তাল হল জলপাইগুড়ি। সোমবার জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়িতে ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে এলে বিজেপির পক্ষ থেকে পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখিয়ে দলের কোপে পড়েন 'মুকুল রায়ের লোক'।
দুর্নীতিবাজ নেতাদের দলে নিচ্ছে বিজেপি!
বিজেপির অভিযোগ, এঁরা এতদিন তৃণমূলে থেকে কাটমানি খেতেন। এই সব দুর্নীতিবাজ নেতাদের দলে নিয়েছে বিজেপি। তা নিয়েই জেলা বিজেপির মধ্যে তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। বিজেপির তরফে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে এই ঘটনায়। দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মুকুল রায়ের লোক বলে পরিচিত শিবশঙ্কর দত্তকে।
'মুকুল রায়ের লোক' বিক্ষোভ সরব
এই শিবশঙ্কর দত্ত নিজেকে 'মুকুল রায়ের লোক' বলে পরিচয় দেন। এই মুকুল রায়ের লোকই সরব হন ফের পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়। তাঁর নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয় পঞ্চায়েতে। দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসায় স্বভাবতই চাপে পড়ে যায় বিজেপি। তারপরই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজেপিতে গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘটা করে শিবশঙ্কর দত্ত ও তাঁর দলবলকে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল। তারপর ভোটে ১৩টির মধ্যে ৬টি আসন জিতেছিল বিজেপি। বাকি সাতটি আসনে জয়লাভ করে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সাতজনের মধ্যে পাঁচ জন আবার বিজেপিতে যোগ দেন। তারপরেই শিবশঙ্কর দত্তরা আন্দোলন গড়ে তোলেন।
কাটমানি খাওয়া লোকগুলো বিজেপিতে
শিবশঙ্কর দত্তদের অভিযোগ, কাটমানি খাওয়া লোকগুলোকে ফের দলে নিচ্ছে বিজেপি। নিজেকে মুকুল রায়ের লোক বলে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, বিজেপিতেও দুর্নীতিবাজ লোকগুলো ঢুকে পড়ছে। এই কঠোর সমালোচনার পর শিবশঙ্করকে বহিষ্কারেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, দল থেকে বহিষ্কার করা হল শিবশঙ্করকে।
[আরও পড়ুন:কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে উদ্ধার করল মুখ্যমন্ত্রীর 'রূপশ্রী প্রকল্প', খুশি অভাবী পরিবার ]
[আরও পড়ুন:নেতা বাছতে আলোচনা-বিতর্ক করতে হয়; যেমন করছে আমেরিকায় ডেমোক্র্যাটরা; কংগ্রেস কি শিখছে?]