
হিটলার ও মুসোলিনির শাসনকেও হারমানায়, বিজেপি কর্মীদের উপর সন্ত্রাস নিয়ে বিস্ফোরক সায়ন্তন
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর মন্তব্য ঘিরে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার। বিজেপি নেতা কোচবিহারের সভায় অভিযোগ করেছেন মমতা সরকার হিটলার-মুসোলিনির শাসনকেও হারমানায়। এতটাই নির্মম ভাবে বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে রাজ্যে। এদিকে আবার দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় ৩৭ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

ভোটপরবর্তী হিংসা
রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পর থেকে শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা। একের পর এক জায়গায় আক্রান্ত হয়ে চলেছেন বিজেপি নেতারা-কর্মীরা। একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ঘরছাড়া। অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তিনশোর বেশি বিজেপি নেতা কর্মী। বিজেিপর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় ৩৭ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন।

কোচবিহারে উত্তেজনা
ভোট শুরুর পর থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারে। ভোটের দিন দুই দফায় কোচবিহারে গুলি চলেছে। ভোটের পরে বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন কোচবিহারে। দিনহাটায় আক্রান্ত হয়েছেন উদয়ন গুহ। মেরে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একের পর হিংসার ঘটনার পরে শীতলকুচিতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁকে দেখে কালোপতাকা দেখানো গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়।

সায়ন্তন বসুর অভিযোগ
এই কোচবিহারে গিয়েই আবার বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তিনি অভিযোগ করেছেন যেভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে তা হিটলার, মুসোিলন, স্টালিনের শাসনকেও হার মানায়। এতটাই স্বৈরাচারী সরকার চলছে রাজ্যে। একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর সন্ত্রাস হামলা চালানো হচ্ছে।

তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে কোচবিহারে নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। সেকারণেই সায়ন্তন বসু সেখানে গিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে সায়ন্তন বসুর গতিবিধির উপর নজর রাখার আবেদন জানানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।