পুজো অনুদানেও রয়েছে তৃণমূলের কাটমানি! বিস্ফোরক সায়ন্তন বসু
পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া (Durga Puja Grant) আসলে ভোট কেনার ছক। শিলিগুড়িতে এই ভাষাতেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি (bjp) নেতা সায়ন্তন বসু (sayantan basu)। তৃ
পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া (Durga Puja Grant) আসলে ভোট কেনার ছক। শিলিগুড়িতে এই ভাষাতেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি (bjp) নেতা সায়ন্তন বসু (sayantan basu)। তৃণমূলের (trinamool congress) বিরুদ্ধে পুজোর নামে টাকা তোলার অভিযোগও তিনি করেছেন।
নোংরা রাজনীতি সরিয়ে কন্যাদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করুন! অমিত শাহকে 'রাস্তা' দেখালেন অভিষেক, পার্থ
দুর্গাপুজোর নামে বেলেল্লাপনা
সাংবাদিক সম্মেলনে সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার দুর্গাপুজোর নামে বেলেল্লাপনা করছে। তাঁর অভিযোগ, পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া আসলে ভোট কেনার ছক।
পুজোতেও কাটমানির গল্প
সায়ন্তন
বসুর
অভিযোগ,
পুজোতেও
রয়েছে
কাটমানির
গল্প।
পুজোর
নাম
করে
তৃণমূল
টাকা
তুলছে
বলে
অভিযোগ
করেছেন
তিনি।
পুজো অনুদান নিয়ে দিলীপ ঘোষ
পুজো অনুদান নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, পুরোটাই করা হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থে। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ মেনে ভোট পাওয়ার স্বার্থে রাজনীতিকে যেভাবে ধর্মীয় আকারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা থেকে রাজ্যের বিরত থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
৩৮ হাজার পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান
প্রসঙ্গত রাজ্য সরকার সারা রাজ্যের প্রায় ৩৮ হাজার পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এর জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হচ্ছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটের মধ্যে রাজ্য সরকারের এই অনুদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, পুজোকে সামনে রেখে ভোটবাক্স শক্তিশালী করতেই সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও এই অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য সরকার তথা শাসক তৃণমূল কংগ্রেস।
অনুদান নিয়ে হাইকোর্টে মামলা
এই অনুদান নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। অনুদান দেওয়ার সময় পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তৃণমূলের তরফ থেকে ঢাকি, ফুল তথা পুজোর আনুসাঙ্গিক খরচের জন্য টাকা ব্যবহারের কথা বলা হলেও, হাইকোর্টে হলফনামা দেওয়ার সময় রাজ্য সরকার জানায় মাস্ক ও স্যানিটাইজেশনের খরচের জন্য এই টাকা দেওয়া হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ
পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে একটা সমালোচনা চলছিলই, সেই পরিস্থিতিতে সোমবার হাইকোর্ট জানায় পুজো মণ্ডপগুলি দর্শকদের জন্য নোএন্ট্রি থাকবে। বড় পুজোয় ১০ মিটার এবং ছোট পুজো গুলোয় ৫ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারবেন দর্শকরা। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলা হয়, তাহলে পুজোর অনুদানের আর দরকার কী। কেননা দর্শকরা দূরে থাকলে মাস্ক ও স্যানিটাইজেশনের কতটা দরকার পড়বে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।