হানাহানিতে 'সরাসরি' যুক্ত মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো! বিজেপি নেতার দাবিতে চাঞ্চল্য
রাজ্য জুড়ে যে হানাহানি চলছে তার জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো। নাম না করে শাসকদলের প্রতি এমনই আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্ত্বন বসু।
রাজ্য জুড়ে যে হানাহানি চলছে তার জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো। নাম না করে শাসকদলের প্রতি এমনই আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্ত্বন বসু। ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন তিনি।
পুরুলিয়ায় জয়পুরে দলীয় কর্মী নিরঞ্জন গোপের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্ত্বন বসু। সেখানে নিরঞ্জন গোপের বাবার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। সেখানে সায়ন্ত্বন বসু দাবি করেন, রাজ্য জুড়ে যে হানাহানি চলছে তার জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তিনি। না হলে রাজ্যে চলা অশান্তি আরও বাড়বে বলেও মন্তব্য করেছেন সায়ন্ত্বন বসু।
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে রাজ্যের অন্য জায়গায় মতো উত্তপ্ত পুরুলিয়ার একাধিক এলাকা। উল্লেখযোগ্য রঘুনাথপুর এবং জয়পুর। মঙ্গলবার জয়পুরের ঘাঘরা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই ওই দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা শূন্যে গুলি চালিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: গুলি খেয়েই মুখে উন্নয়নের স্লোগান! পঞ্চায়েত সদস্য বিয়োগ মোদীর দলে ]
বিজেপি নেতা সায়ন্ত্বন বসু জানিয়েছেন, জয়পুরে চারটির মধ্যে তিনটি পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি। এর মধ্যে দুটিতে বিজেপি বোর্ড গঠন করে। কিন্তু অপর একটিতে বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির প্রধানকে সরিয়ে তৃণমূলের প্রধানের নাম ঘোষণা করা হয় প্রশাসনের তরফে। এইসময় কয়েকশো বিজেপি কর্মী ঘটনাস্থল ঘেরাও করে রাখেন। ঘেরাও তুলতে পুলিশ গুলি চালায়। সেই গুলিতেই দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন:মা দূর্গা এবার কিসে চড়ে আসছেন, দেবীর 'গমন'ই বা কিসে! শাস্ত্রমতে জানুন এর ফলাফল]
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আটকে থাকা জায়গাগুলিতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের মতো বোর্ড গঠনেও বিভিন্ন জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে শাসক তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: বিধ্বংসী বন্যা পেরিয়ে আজ থেকে চালু হচ্ছে কেরলের এই বিমানবন্দর ]