বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলে চলল গুলি! আদি-নব্য দ্বন্দ্বের মাশুল গুনতে হল নেতার মাকে
সিতাইয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। গুলিবিদ্ধ মহিলার নাম সুধা বর্মন। গুলিবিদ্ধ মহিলাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় তাঁকে। অভিযোগ, বিজেপির গোষ্ঠীদন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। সিতাই থানার পুলিশ এই গুলিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে।

অভিযোগ, লোকসভায় জেতার পরেই বিজেপিতে যোগ দেন নূর মহম্মদ প্রামাণিক। নূরের অনুগামীরা এরপর বিজেপির সক্রিয় কর্মী ইন্দ্রজিৎ বর্মনের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে। সেই সময় ইন্দ্রজিতের সঙ্গে নূর মহম্মদ প্রামাণিকের অনুগামীদের বসচা বাধে। বচসা চলাকালীন ইন্দ্রজিৎকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় নূরের অনুগামীরা।
গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ইন্দ্রজিতের মা সুধা বর্মনের কোমরে লাগে। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসার পর দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এই মহিলাকে উদ্ধার করে দিনহাটা হাসপাতালে ভর্তি করে। বিজেপির যুবনেতা প্রশান্ত বর্মন বলেন, সিতাই এলাকায় সদ্য বিজেপিতে আসা নূর মহম্মদ প্রামাণিক ও পরিমল রায়ের অনুগামীরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
পুরনো বিজেপি কর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না রাখায় তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালাছে। মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী ইন্দ্রজিৎ বর্মনের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানো হয়। তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সেই গুলি লেগে ইন্দ্রজিতের মা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
বিজেপির অভিযোগ, সিতাই পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে এই ঘটনায়। ফলে সন্ত্রাস দিনদিন বেড়েই চলেছে। এভাবে যদি বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চলতে থাকে, তাহলে সিতাই এলাকার মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে। বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।
যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করে সদ্য বিজেপিতে আসা নুর মহম্মদ প্রামাণিক বলেন, ইন্দ্রজিতের মাকে গুলি লেগেছে শুনেছি। যতটুকু জানি ওটা ওদের পারিবারিক ব্যাপার। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, প্রশান্ত বর্মণ তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার কাছ থেকে টাকা খেয়ে এলাকার কিছু বিজেপি কর্মীকে নিয়ে গোটা সিতাই ব্লকে সন্ত্রাস করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সাংসদকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁকে কালিমালিপ্ত করতে এ সমস্ত মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। বিজেপিতে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই। তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেউ কেউ এসব করে বেড়াচ্ছে এলাকায় শাসন কায়েম করার জন্য।