বিজেপির সভায় মুখে মুখে ফিরছে- ‘গোলি মারো শালো কো’! দিল্লির পর কলকাতাতেও
বিজেপির সভায় মুখে মুখে ফিরছে- ‘গোলি মারো শালো কো’! দিল্লির পর কলকাতাতেও
এবার কলকাতার রাস্তাতেও উঠল সেই বিতর্কিত স্লোগান। কলকাতার শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভায় যোগ দিতে আসার সময় বিজেপি মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে- 'গোলি মারো শালো কো'। রবিবার অমিত শাহের সভা থেকে এই স্লোগান ওঠায় বিতর্ক শুরু হল কলকাতাতেও। পুলিশ-প্রশাসনের এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এই ঘটনায়।
‘গোলি মারো শালো কো’ স্লোগান
এই ‘গোলি মারো শালো কো' স্লোগানই দিল্লির হিংসায় বারুদের মতো কাজ করেছিল। সেই আগুন এখনও জ্বলছে। রক্ত ঝরেছে, প্রাণ গিয়েছে, বহু সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, তারপরও মানুষ সচেতন হয়নি। তাই দিল্লির পর এবার কলকাতাতেও উঠে গেল মারণ সেই স্লোগান।
কলকাতাতে মুখে মুখে ফিরল সেই স্লোগান
দিল্লি নির্বাচনের সময় বিজেপি সাংসদের মুখে এই স্লোগান শোনা গিয়েছিল। তার কী ফল হয়েছিল, তার জ্বলন্ত প্রমাণ দিল্লি। দিল্লির হিংসার পরও কলকাতাতে মুখে মুখে ফিরল সেই স্লোগান। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বুক ফুলিয়ে এই স্লোগান দিতে দিতে শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভাতে গেলেন।
গুলি মারার নিদানেও গ্রেফতার নয়
দিল্লিতে হিংসার পরও বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর বা বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি পুলিশ। এই বাংলাতেও সম্প্রতি গুলি মারার নিদান দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুরা। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়নি।
রাজ্যের পুলিশ করছে টা কী?
সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী দাবি করলেন, রাজ্যের পুলিশ করছে টা কী? অবিলম্বে গোলী মারে স্লোগান তোলা কর্মী-সমর্থকদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। কেন অমিত শাহের সভার অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই প্রশ্ন উত্থাপন করেন কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীরও। তিনিও মমতা-শাহের সেটিংয়ের তত্ত্ব তুলে ধরেন। অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন।