বদল হলে বদলাও হবে! দিলীপকে অনুসরণে রাজুর তোপ জেলের ভাত খাওয়াব, জুতো চাটাব
বদল হলে বদলাও হবে! দিলীপকে অনুসরণে রাজুর তোপ জেলের ভাত খাওয়াব, জুতো চাটাব
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শুরু করেছিলেন। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবার বিজেপির রাজ্য নেতারা একের পর এক বদলার বাণী দিয়ে চলেছে। দিলীপের পর সায়ন্তন বসু বদলা নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। এবার জলপাইগুড়িতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল ও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বদলার বার্তা দিলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলের ভাত খাইয়ে দেব
রাজুর কথায়, আমাদের স্লোগান ২০২১-এ বদলা হবে, বদলও হবে। পুলিশের কর্মীরা যারা তৃণমূলের দালালি করছে, তৃণমূলের হয়ে কাটমানি খাচ্ছে্, তাদের আমরা সাবধান করে দিচ্ছে। যত বড় আধিকারিক হোন না কেন, আইপিএস অফিসার হোন না কেন। আপনারা তৃণমূলের জেলা সভাপতি হয়ে গিয়েছেন তো। আগামী দিন আপনাদের জেলের ভাত খাইয়ে দেব।
বিজেপি কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না
তাঁর হুঁশিয়ারি শুধু পুলিশকে নয়, আপনার তৃণমূলের দাদাদেরও, মন্ত্রীদেরও জেলের ভাত খাওয়াব। সবার বিরুদ্ধে তদন্ত করে জেলের ভাত খাইয়ে ছেড়ে দেব। যারা চুরি করবে, সবাই তারা জেলের ভিতরে থাকবে। বিজেপি কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। পুলিশ, মন্ত্রী, কেউ না।
বদলায় পায়ের জুতো চাটিয়ে ছাড়ব
রাজু বলেন, পুলিশ যে ভূমিকা নি্চ্ছে, যেভাবে দালালি করছে, অত্যাচার চালা্চ্ছে আমাদের নেতাদের উপর, যেভাবে পুলিশ নির্বাতার থাকছে বিজেপি কর্মীদের পিটিয়ে মারার পরও, কাউকে ছাড়ব না। সবাইকে জুতো চাটাবো। বদল হলেই বদলা হবে। আর সেই বদলায় পায়ের জুতো চাটিয়ে ছাড়ব পুলিশকে।
প্রথম শোকজ করতে হবে মমতা-অভিষেককে
তিনি বলেন, ধূপগুড়িতে তৃণমূল নেতারা দাঁড়ি্য়ে থেকে দুর্নীতি করছেন। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কাটমানির সরকার চলছে। ধূপগুড়ি তার ব্যতিক্রম নয়। এখন রাজ্যজুড়ে তৃণমূল শুদ্ধিকরণে নেমেছে। শোকজ করছে তৃণমূল নেতাদের। যদি শোকজই করতে হয়, তবে প্রথম শোকজ করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কাটমানি খাওয়া শেখাচ্ছেন মমতা
কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবার আগে শোকজ করতে হবে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রাজু। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো সবাইকে কাটমানি খাওয়া শেখাচ্ছেন। একটা প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলছেন, তোমরা ৭৫ পার্সেন্ট রাখো, বাকি ২৫ পার্সেন্ট আমাকে দাও। তাহলে কাকে আগে শোকজ করা উচিত, বলুন।
শোকজের নামে আইওয়াশ করা হচ্ছে
এসব যা হচ্ছে সবই আইওয়াশ। বোঝানো হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা স্বচ্ছ, তৃণমূল কতটা স্বচ্ছ। নিচুতলার নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি ধরে সাধারণ মানুষের চোখে পর্দা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। যদি শোকজ করতেই হয়, তাহলে মমতা-অভিষেকদের আগে শোকজ করতে হবে। কেননা তারাই এসবের উৎস।
নেতৃত্ব দিচ্ছেন হিটলার স্বৈরাচারী মুখ্যমন্ত্রী
রাজু বলেন, আপনারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কথা বলছেন? মমতার সঙ্গে কারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা সারদা-নারদা থেকে হাত পেতে টাকা নিয়েছে আর সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছে, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস একটা কাটমানির দল, সিন্ডিকেটের দল, মাফিয়ারাজের দল, গুন্ডার দল। আর তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন হিটলার স্বৈরাচারী মুখ্যমন্ত্রী।
সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত সবাই তৃণমূলের
রাজু বলেন, বাংলায় কোনও আইনের শাসন নেই। তিনি হাইকোর্ট মানেন না, সুপ্রিম কোর্টও মানেন না, কোনও কোর্টই মানেন না। এখানে যত লোক আছে দেখবেন, বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়া, গরু মাফিয়া, জমি মাফিয়া, যত লোক আছে সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত সবাই তৃণমূলের।
দিলীপের উপর হামলা চায়ে পে চর্চা শুরুর আগেই! সাতসকালে রণক্ষেত্র রাজারহাট চত্বর