পুরমন্ত্রীর পদ থেকে ববি হাকিমের অপসারণ চাইলেন রাহুল সিনহা
পুরমন্ত্রীর পদ থেকে ববি হাকিমের অপসারণ চাইলেন রাহুল সিনহা
গড়িয়া শ্মশান কাণ্ডের জেরে পুরমন্ত্রীর পদ থেকে ববি হাকিমের অপসারণ চাইলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা।
সম্প্রতি গড়িয়া মহাশ্মশানে বেওয়ারিশ লাশ লোহার আংটা দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সামাজিক মাধমে ভাইরাল হয়। আর এই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন রাজ্যপালও। এই প্রসঙ্গেই এদিন বর্ধমানে বিজেপির দফতরে থেকে পুরমন্ত্রীর পদ থেকে ববি হাকিমের ইস্তফা চান রাহুল সিনহা। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলেন রাজ্যবাসীর কাছে।
তিনি বলেন, 'বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু কোথাও দেখেছেন চালের বস্তার লোহার আংটা দিয়ে মৃতদেহ হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। সারা রাজ্যের মানুষ এই অমানবিক দৃশ্য দেখেছেন। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর উচিত রাজ্যবাসীর কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাওয়া। আর যে পুরসভার গাড়ি থেকে এভাবে মৃতদেহ নামানো হয়েছে সেই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ এই পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা উনি হারিয়েছেন। করোনা নিয়ে অব্যবস্থার জেরে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছে। বাংলার কত বড় অসম্মান।'
পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশনের স্লিপ বিলি নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ' পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রেশনে অতিরিক্ত চাল, গমের ব্যবস্থা করেছেন মোদী সরকার। যেসমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড নেই তাদের জন্য রেশন স্লিপ বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল এক্ষেত্রেও দুর্নীতি করছে। বেছে বেছে তৃণমূলের ক্যাডারদের এই স্লিপ বিলি করা হচ্ছে। প্রকৃত পরিযায়ী শ্রমিকরা এই স্লিপ পাচ্ছে না। এই সরকার প্রথমে চায়নি পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরুক। কারণ পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিনরাজ্য থেকে যে টাকা পাঠান তাতে রাজ্যেরও আয় হয়। পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরলে রাজ্যের আয় কমে যাবে। দিদি শুধু একজন পরিযায়ী শ্রমিকের স্বার্থ দেখছেন, তিনি প্রশান্ত কিশোর। এই দুঃসময়ে দিদির কল্যাণে তাঁর রোজগার ৫০০ কোটি।
সুশান্তের আত্মহননকে হাতিয়ার করে প্রচার কলকাতা পুলিশের