ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্যেই উগ্রপন্থীদের আঁতুড়ঘর রাজ্য! মমতাকে তোপ রাহুল সিনহার
এদিনই কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৯ আলকায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। কেরলের এরনাকুলাম ও পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ আর এরপরই রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি নেতারা। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। রাজ্যকে উগ্রপন্থীদের আঁতুড়ঘর বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
উগ্রপন্থীদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা এদিন বলেন, 'মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ আল কায়দা জঙ্গি গ্রেফতারের পর বোঝাই যাচ্ছে উগ্রপন্থীদের একটা আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্য সরকারের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণে বিভিন্ন জায়গার উগ্রপন্থীরা এরাজ্যে খুব সহজেই আশ্রয় নিচ্ছে।'
উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি
তিনি আরও বলেন, 'এই উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিশেষত বাংলাদেশ সীমান্ত সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।' এদিকে এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এনআইএ-র এক আধিকারিক জানান, রাজধানীসহ দেশের মেট্রো শহরগুলিতে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল ওই জঙ্গিরা৷
কীভাবে এদের খোঁজ পায় এনআইএ?
কীভাবে এদের খোঁজ পায় এনআইএ? এরনাকুলামে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করত জলঙ্গির ঘোষপাড়ার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন। তাকে গ্রেফতার করে বাকিদের নাম জানতে পারে এনআইএ। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। ধৃত জঙ্গিরা হামলার ছক করছিল।
মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ৬
এরপর জলঙ্গির ঘোষপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মোশারফ হোসেনের ভাই আতিকুর রহমানকে। এরপর ডোমকল কলেজের অস্থায়ী কর্মী লিওন আহমেদ আনসারিকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি থেকে একটি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও একটি পিস্তল উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু জঙ্গি যোগের কাগজ ও নকশা মিলেছে। ডোমকলের হিতানপুর থেকে গ্রেফতার হয় গাজি মিঞাকে। তার বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি পাওয়া গেছে। গাজি মিঞার মুড়ির মিল রয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু বিস্ফোরকও মিলেছে বলে জানা গেছে।
জঙ্গিদের প্ল্যান
এনআইএ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় উর্দুতে একটি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। যেখানে বলা হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। তবে ধৃতদের পরিবারের দাবি, তাদের চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। তবে এনআইএ-র দাবি, দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে নিরীহদের খুন করে আতঙ্ক ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের৷
প্যাংগংয়ে বিরাজমান অবিশ্বাসের মেঘ! ভারত-চিন সেনার বৈঠকের আগে ঘুঁটি সাজাচ্ছে দিল্লি