রাজ্য ভাগ নিয়ে ভিন্ন সুর বিজেপিতেই! নাম না করে দিলীপ-মমতাকে কার্যত এক আসনেই বসালেন রাহুল, বিরোধিতায় লকেটও
রাজ্য ভাগ নিয়ে ভিন্ন সুর বিজেপিতেই! নাম না করে দিলীপ-মমতাকে কার্যত এক আসনেই বসালেন রাহুল, বিরোধিতায় লকেটও
দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) বাংলা ভাগে সায় নিয়ে ভিন্ন সুর বিজেপিতেই (bjp) । প্রসঙ্গত শনিবার জন বার্লাকে পাশে নিয়ে অনুন্নয়নের বাংলা ভাগের দাবিতে সায় দিতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এদিন বাংলা ভাগ ঠেকাতে রাখি বন্ধনের কী গুরুত্ব ছিল সেই কথা তুলে ধরেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাহুল সিনহা (rahul sinha)। বিরোধিতা করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।
আলাদা রাজ্যের বিরোধিতায় রাহুল সিনহা
এদিন রাহুল সিনহা বলেন, বাংলা ভাগ নিয়ে রাজ্য কিংবা দলে কোনও নীতি নেই। বাংলা যেমন ছিল তেমনই থাকবে। তারা বাংলা ভাগের বিপক্ষে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাহুল সিনহা বলেন, রাজ্যের এই রীতি অনেকদিনের। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর তৎকালীন বঙ্গে কবিগুরু রাখি উৎসব শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, আজ কেউ বঙ্গবঙ্গ করতে চায় আবার কেউ বাংলার নাম পরিবর্তন করে বাংলার ঐতিহ্যকে শেষ করে দিতে চায়।
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরোধিতা
নিজের সংসদীয় কেন্দ্র হুগলির চুঁচুড়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া পরে এদিন তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষের বক্তব্য তিনি শোনেননি, তাই তিনি এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। তবে বাঙালি হিসেবে তিনি দাবি করতে পারেন, বাংলা তার জায়গাতেই থাকবে। বঙ্গভঙ্গ রোধ করতেই রবীন্দ্রনাথ রাখি বন্ধন করেছিলেন। তিনি বলেন, বাংলা কখনও ভাগ হবে না। যা ভাবা হচ্ছে তা আবেগের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পৃথক রাজ্যের দাবিতে কার্যত সায় দিলীপের
শনিবার পৃথক রাজ্যের দাবিতে কার্যত সায় দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লাকে পাশে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, এখানকার মানুষ যদি পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি করে থাকে, তাহলে তাতে অনায্যের কিছু নয়। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ কিংবা জঙ্গলমহল যদি আলাদা রাজ্য হতে চায়, তাহলে তার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্কুল, কলেজ, শিল্প থেকে কর্মসংস্থান সবেতেই উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি নিজের এলাকা জঙ্গলমহলের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেছিলেন, শালপাতা, কেন্দুপাতা তুলে মা-বোনেরা জীবিকা নির্বাহ করেন। কেন এইসব এলাকার মানুষেরা চাকরির জন্য রাঁচি, ওড়িশায় যাবেন, সেই প্রশ্ন করেন দিলবীপ ঘোষ। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়নের লাভ পাওয়ার অধিকার কি তাঁদের নেই? প্রসঙ্গত ভোটের পরেই প্রথম উত্তরবঙ্গকে পৃথক করার দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লাই। জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তুলেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। পরে জন বার্লাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়।
কটাক্ষ করেছিলেন ফিরহাদ
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যে পরিবহণমন্ত্রী পিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক লাভের জন্যই এসব বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, একটা সময়ে রাজনৈতিক স্বার্থেই ভারত ভাগ হয়েছিল। তাই তারা আবার ভাগ চান না।