সিপিএম আর কংগ্রেসের যৌথ আন্দোলনের ডিরেক্টর মমতা, কটাক্ষ রাহুল সিনহার
ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে ভয় দূর করার চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ডিটেনশন ক্যাম্পের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে।
ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে ভয় দূর করার চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ডিটেনশন ক্যাম্পের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস সবাইকে ভীত সন্ত্রস্ত করতে চাইছে। পাশাপাশি তাঁর দাবি সিপিএম আর কংগ্রেসের যৌথ আন্দোলনের ডিরেক্টর হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে সাফাই
রাহুল সিনহা বলেন, ডিটেনশন ক্যাম্পের তথ্য আসছে কোথা থেকে। কেউ কি ডিটেনশন ক্যাম্পের কথা বলেছে। তিনি বলেন, অসমে যে ডিটেনশন ক্যাম্প হয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টের আদেশে হয়েছে। রাহুল সিনহা বলেন, এখানে তো নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা, কাউকে তো বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়নি।
মানুষকে সন্ত্রস্ত করছে তৃণমূল
রাহুল সিনহার অভিযোগ মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল। যদিও তাতে তারা সফল হবে না, মন্তব্য করেছেন রাহুল সিনহা।
মমতাকে কটাক্ষ
নাগরিকত্ব আইন পাশ করাতে দেব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথার কটাক্ষ করেছেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইন পাশও হয়ে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্থ আছেন। মমতার সামনেই বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুরা নাগরিকত্ব পাবেন, জানিয়েছেন রাহুল সিনহা। এখন নবান্নতে থাকলেও পরে আর তিনি নবান্নে থাকবেন না। কিন্তু সুস্থ দেহে তিনি সব কিছু অনুধাবন করতে পারবেন, বলেছেন রাহুল সিনহা।
নতুন সমীকরণ
রাজ্যে বাম কংগ্রেস সিএএ নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। এপ্রসঙ্গে রাহুল সিনহা বলেছেন, পুরো বিষয়টি দায়িত্ব নিয়ে করাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম নেতাদের বলছেন অফিস খুলুন। যদি মিছিলে লোক না পান, তাহলে তাঁকে বলুন। বলেছেন রাহুল সিনহা। তিনি প্রশ্ন করেন, এরপর কি আর বুঝতে বাকি থাকে, সিপিএম আর কংগ্রেসের যৌথ আন্দোলনের ডিরেক্টর কে, প্রডিউসার কে।
দিলেন দেড়বছর আগের উদাহরণ
রাহুল সিনহা বলেন, দেড় বছরে আগের চিত্রটা দেখুন। সেই সময় পর্যন্ত সিপিএম-এর অফিস দখল করেছে তৃণমূল। তাদের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু গত দেড়বছরের মধ্যে সেই অভিযোগ শোনা যায়নি।
আপত্তি কিসের, প্রশ্ন রাহুলের
অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলেই কথা হয়েছিল সারা দেশে নাগরিকদের একটাই পরিচয়পত্র হবে। সেই কার্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন আপত্তি, প্রশ্ন করেছেন রাহুল সিনহা। এনপিআর নিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যা সামঞ্জস্য এমনভাবে বিগড়ে গিয়েছে, তা ধরা পড়ে যাবে। বেকারের পাহাড়ের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাও ধরা পড়ে যাবে। বলেছেন রাহুল সিনহা। সত্যকে চাপা দিতেই জনসংখ্যার গণনাকেও আটকাতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেছেন রাহুল সিনহা।