ত্রিপুরা মডেলে বাংলা-জয়ের স্বপ্ন দেখছেন মুকুল, জেলা পরিষদ জিতলে দারুন ‘অফার’
ত্রিপুরাতে স্মার্ট ফোন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই শাসকদল সিপিএম তথা বামফ্রন্টের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছিল বিজেপি। এবার পঞ্চায়েতে সাফল্য আনতে সেই একই পন্থা নিলেন মুকুল রায়।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে তৃণমূলের পালের হাওয়া কাড়তে ত্রিপুরা মডেলের আশ্রয় নিলেন মুকুল রায়। ত্রিপুরাতে স্মার্ট ফোন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই শাসকদল সিপিএম তথা বামফ্রন্টের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছিল বিজেপি। এবার পঞ্চায়েতে সাফল্য আনতে সেই একই পন্থা নিলেন বিজেপির পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মুকুল রায়।
[আরও পড়ুন: হোক না ভোটের লড়াই, ভোট নিয়ে সন্ত্রাস কেন! মুকুলের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ 'নেত্রী' মমতা]
মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ দখল করতে পারলে বেকার যুবক-যুবতীদের স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে। মুকুল রায় এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলা বিজয়ই বিজেপির প্রধান লক্ষ্য। সেই কারণে এই পঞ্চায়েত থেকেই ত্রিপুরা মডেল প্রয়োগ করতে চাইছেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন মুকুল রায়। বিজেপি নেতা মুকুল রায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট লড়াইয়ে নামতে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই সন্ত্রাসের আবহে ভোট করতে চাইছেন। গণতন্ত্রের উৎসবকে হিংসার উৎসবে রূপান্তরিত করেছেন।
মুকুল রায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, যদি বাংলার বুকে উন্নয়নই হয়ে থাকবে, তবে ভোটের লড়াইয়ে নামতে এত ভয় পাচ্ছেন কেন মুখ্যমন্ত্রী? তাহলে কেন এত সন্ত্রাস? কেন মনোনয়ন দিতে বাধা? কেন মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি-চাপ সৃষ্টি করা?
[আরও পড়ুন: ভোটের চূড়ান্ত দিন জানা যাবে ৪মে, পঞ্চায়েত মামলা এবার প্রধান বিচারপতির কোর্টে]
রাজ্যকে দূষে মুকুল রায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আসুন, লড়াই হোক ভোটের ময়দানে। কিন্তু আমরা জানি, সুষ্ঠু ভোটের আবহ থাকবে তৃণমূলশাসিত রাজ্যে। মুকুলের কথায়, তৃণমূলের স্বরূপ এতদিনে চিনতে পেরে গিয়েছে মানুষ। তাঁরা ভোটবাক্সেই তার উত্তর দেবেন। আমাদের মানুষের প্রতি বিশ্বাস আছে। এদিন পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, আমি তৃণমূল ছেড়ে এসেছি বলে আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছেন। উনি কি কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি।
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে আক্রমণ করেই ক্ষান্ত নন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি এদিন কটাক্ষ করে বলেন, তৃণমূলের হয়ে কে ভোটে লড়বেন, কে দলের টিকিট পাবেন, তা ঠিক করে দিচ্ছেন পুলিশ কর্তারা। দলটা এখন থানা থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ করছেন থানার ওসিরা।
[আরও পড়়ুন: ঘোড়ার চোখে ঠুলি পরানোর চেষ্টা, নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় হাইকোর্ট]