রেল কমিটি প্রতারণা মামলায় মুকুল রায়কে ছাড়, সিট-এর চার্জশিট ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা
২০১৯ সালে দায়ের করা হয়েছিল রেল কমিটি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগটি। এই মামলার প্রেক্ষিতে মুকুল রায়কে ঘিরে একটি অস্বস্তির জাল তৈরি করেছিল রাজ্য। গঠিত হয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। এরপর গ্রেফতার হয়েছিল বাবান ঘোষ নামে এক বিজেপি নেতা। পরে গ্রেফতার হন রাহুল সাউ, সাদ্দাম হুসেন নামে আরও দুই মুকুল ঘনিষ্ঠ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় ডাকা হয়েছিল মুকুল রায়কেও।
এফআইআরে নাম থাকলেও সিটের চার্জশিটে নেই মুকুল রায়ের নাম
মুকুল রায় সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, জোনাল রেলওয়ে ইউজার কনসালটেটিভ কমিটি-র সদস্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণা হয়েছিল। সেই মামলাতেই আলিপুর আদালতে চার্জশিট জমা দিল বিশেষ তদন্তকারী দল সিট। এই মামলায় এফআইআরে নাম থাকলেও সিটের চার্জশিটে নেই মুকুল রায়ের নাম।
৮ পাতার চার্জশিটে নাম রয়েছে কাদের?
প্রসঙ্গত, সদ্য বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি হওয়া মুকুল রায়ের নাম চার্জশিটে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। আর এতেই কানাঘুষো শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এদিন আলিপুর আদালতে পেশ করা সিটের ৮ পাতার চার্জশিটে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের রাজ্য সভাপতি বাবান ঘোষ, রাহুল সাউ, সাদ্দাম হুসেনের নাম রয়েছে।
কোন ধারায় মামলা?
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ৫০৬, ১২০ ধারা অনুযায়ী প্রতারণা, জালিয়াতি, জাল নথিকে আসল বলে চালানো সহ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জশিট আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে খুব শীঘ্রই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিতে পারে সিট।
রিপোর্ট হাতে পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় ধৃতদের থেকে বাজেয়াপ্ত চারটে মোবাইল ফোনে বেশকিছু কল রেকর্ডিং মিলেছে। কাদের মধ্যে সেই কথোপকথন, তা জানতে সেগুলিকে চণ্ডীগড়ে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে পারে সিট।