মমতার পুলিশ স্বস্তি দিল মুকুলকে! নেতা খুনে চার্জশিটে নাম নেই বিজেপি নেতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ স্বস্তি দিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ স্বস্তি দিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। নদিয়ার তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের হত্যাকাণ্ডে এফআইআর-এ নাম ছিল মুকুল রায়ের। তাঁর নদিয়ায় ঢোকার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আদালতে ওই খুনের মামলার চার্জশিট জমা পড়েছে। তাতে মুকুল রায়ের নাম নেই বলেই জানা গিয়েছে।
খুন তৃণমূল বিধায়ক
৯
ফেব্রুয়ারি
নদিয়ার
হাঁসখালিতে
শীতের
সন্ধেয়
সরস্বতী
পুজোর
অনুষ্ঠানে
খুন
হয়েছিলেন
তৃণমূল
নেতা
তথা
স্থানীয়
বিধায়ক
সত্যজিৎ
বিশ্বাস।
তিনি
মতুয়া
সংগঠনের
নেতাও
ছিলেন।
খুনের
ঘটনায়
দুজনকে
গ্রেফতার
করা
হয়েছিল।
তাঁরা
হলেন
কার্তিক
মণ্ডল
এবং
সুজিত
মণ্ডল।
খুনের
ঘটনার
পরেই
হাঁসখালি
থানার
ওসি
ও
দেহরক্ষীকেও
সাসপেন্ড
করা
হয়।
জানা
যায়,
যে
সন্ধেয়
খুন
হন
বিধায়ক,
সেই
সময়
সঙ্গে
ছিলেন
না
একমাত্র
নিরাপত্তারক্ষী।
খুনের
সময়
এলাকায়
লোডশেডিং
হয়ে
গিয়েছিল।
খুনের
পরেই
তৃণমূলের
তরফে
মুকুল
রায়ের
বিরুদ্ধে
অভিযোগ
তোলা
হয়েছিল।
সেই
সময়
থেকেই
বিজেপির
তরফে
মুকুল
রায়
কিংবা
তাদের
জড়িত
থাকার
অভিযোগ
অস্বীকার
করে
এসেছে।
ঘটনায়
তৃণমূলের
অন্তর্দ্বন্দ্বের
অভিযোগ
তুলেছিল
বিজেপি।
তৃণমূলের
তরফে
সত্যজিৎ
বিশ্বাসের
স্ত্রীকে
লোকসভা
নির্বাচনে
প্রার্থী
করেছিল
তৃণমূল।
যদিও
তিনি
পরাজিত
হন।
মুকুল রায় মূল চক্রী, দাবি ছিল তৃণমূলের
নদিয়া জেলার তৎকালীন তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের অভিযোগ ছিল মুকুল রায় ওই হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রী। খুনের পরের দিন এলাকায় নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গোটা ঘটনার প্রকৃত তন্তের দাবি করেছিলেন তিনি। পরোক্ষে মুকুল রায়ের দিকেই অভিযোগে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। ঘটনায় মুকুল রায় সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত হিসেবে ছিল অভিজিৎ পুণ্ডারীর নাম।
পাল্টা দাবি বিজেপির
অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রথম থেকেই জানান, যেসময় খুনের ঘটনা ঘটে, সেই সময় মুকুল রায় ছিলেন কলকাতায়। ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ করে খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন তিনি। নিজের বিরুদ্ধেখুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই মুকুল রায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে গিয়েছেন। বলেছিলেন এই ঘটনা দুঃখজনক। তিনি বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের যেখানেই তৃণমূলের কেউ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন হচ্ছেন, সবেতেই দিলীপ ঘোাষ কিংবা মুকুল রায়ের নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কণ্ঠকে ভয় পাচ্ছেন বলেও দাবি করেছিলেন মুকুল রায়।
চার্জশিটে নাম নেই মুকুলের
খুনের ঘটনায় এফআইআর-এর নাম থাকায় মুকুল রায় এতদিন নদিয়ায় ঢুকতে পারেননি। গোটা লোকসভা ভোটের পর্বও কেটেছে একইভাবে। এবার আদালতে পেশ করা চার্জশিটে মুকুল রায়ের নাম না থাকায় মুকুল রায়ের নদিয়ায় প্রবেশে আর কোনও বাধা রইল না।