এবার বিজেপি লাঙল চালাবে কেষ্টর রাইস মিলে, সভা বানচালে পাল্টা মুকুলের, দেখুন ভিডিও
বীরভূমের মানুষ বলছে এই মুহূর্তে তৃণমূলের জেলা সভাপতির বাড়িতে চাষ হওয়া উচিত। চাষের জন্য সভার অনুমতি বন্ধের বিতর্কে এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
বীরভূমের মানুষ বলছে এই মুহূর্তে তৃণমূলের জেলা সভাপতির বাড়িতে চাষ হওয়া উচিত। চাষের জন্য সভার অনুমতি বন্ধের বিতর্কে এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। যদিও মুকুল রায়ের কোনও অভিযোগ জবাব দিতে চাননি অনুব্রত মণ্ডল।
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির নাম না করে মুকুল রায় বেশ কিছু কাগজ তুলে ধরেন। বলেন, যেই জমি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে সেই জমিতেই এখনই চাষ শুরু করা উচিত। বীরভূমের মানুষ এমনটাই চাইছেন বলেও মন্তব্য করেছেন মুকুল রায়। অন্যের জমিতে চাষ না করে নিজের জমিতে চাষ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
সোমবার পর্যন্ত সভার অনুমতি না দেওয়া নিয়ে কোনও তথ্যই জেলাপ্রশাসনের তরফে জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়। মঙ্গলবার সকালের মধ্যে অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল দশটার আগেই লাভপুরে বিজেপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দিন কয়েক আগে বীরভূমের এক সভায় অনুব্রত মণ্ডলের উদ্দেশে বেশ কিছু প্রশ্ন রেখেছিলেন মুকুল রায়। যার বেশির ভাগই ছিল অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি সংক্রান্ত। সেই সব প্রশ্নের জবাব অনুব্রত মণ্ডল দিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়। বলার সময়ও কাগজ তুলে ধরে কালিকাপুর মৌজার নাম উল্লেখ করেন তিনি। ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি সভা বানচাল করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মুকুল রায়।
বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দাবি, তৃণমূলের এখন সবটাই লিমিটেড কোম্পানি। সেই কোম্পানির বীরভূমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। একইসঙ্গে মুকুল রায়ের অভিযোগ, রাইস মিলের মাধ্যমে অন্নপূর্ণা অন্তোদয় যোজনার চালের হিসেবে গরমিল করা হয়েছে।
সব শেষে মুকুল রায়ের অভিযোগ, নবান্নের নির্দেশেই সভা বানচাল করা হয়েছে।
এদিনই অবশ্য জবাব দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, মুকুল রায় নয়, দিলীপ ঘোষ কিছু বললে তার জবাব তিনি দেবেন।