তৃণমূল ভেঙে ভুল স্বীকার মুকুলের! আড়াই মাস পর মনিরুলকে নিয়ে 'সিদ্ধান্ত' বিজেপিতে
লোকসভা ভোটের পর থেকেই তৃণমূলকে ভাঙতে শুরু করেছিলেন মুকুল রায়। দফায় দফায় বিধায়ক-কাউন্সিলরদের ভেঙে আনছিলেন পদ্মশিবিরে।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই তৃণমূলকে ভাঙতে শুরু করেছিলেন মুকুল রায়। দফায় দফায় বিধায়ক-কাউন্সিলরদের ভেঙে আনছিলেন পদ্মশিবিরে। লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম দলবদল করে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করতেই ছন্দ কাটল। যোগদানের আড়াই মাস পর মুকুল রায় স্বীকার করে নিলেন মনিরুল ইসলামকে দলে আনা ভুল হয়েছিল।
মুকুলের ভুল স্বীকার
দুর্গাপুরে আয়োজিত বিজেপির চিন্তন শিবিরে মুকুল রায় স্বীকার করে নেন, মনিরুল ইসলামকে দলে আনা ভুল হয়েছিল তাঁর। দলে নেওয়ার আগে নেতার ভাবমূর্তি নিয়ে সচেতন থাকতে হবে বলেই মত প্রকাশ করেন মুকুল রায়। চিন্তন শিবিরে সিদ্ধান্ত হয়, ভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগদানে করাতে এবার থেকে চালুনি প্রথা চালু করছে বিজেপি।
মনিরুল পদ্মশিবিরে যোগ দিতেই
এর আগে বীজপুরের বিধায়ক মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু বাবার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। এছাড়া হেমতাবাদের বাম বিধায়ক দেবেন্দ্র রায় এবং বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্যও বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা, যুবনেতা মহম্মদ আসিফ ও তৃণমূল নেতা নিমাই দাস যোগদান করেন।
মনিরুলের যোগদান পর্বের পরই
মনিরুলের যোগদান পর্বের পরই বঙ্গ বিজেপি দু-ভাগে ভাগ হয়ে যায়। মুকুলরে সমালোচনায় মুখর হল একদল। মনিরুলও চাপে পড়ে বিজেপি থেকে পদত্যাগ করতে চান। এই অবস্থায় মুকুল রায় চাপে পড়ে যান। তিনি যে গতিতে তৃণমূল ভাঙছিলেন, সেখানে খানিক ছেদ পড়ে।
তৃণমূলে ফিরে আসার হিড়িক
তবে তৃণমূল ভাঙলেও, এরপর থেকে বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। বহু পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েত বেদখল হওয়ার উপক্রম হলেও, পর মুহূর্তে তা পূনর্দখল করে তৃণমূল। এই অবস্থায় বিজেপির চিন্তন শিবিরে বেনোজন প্রসঙ্গ উত্থাপন হতেই মুকুল রায় তাঁর ভুল স্বীকার করে নেন।
চালুনি দিয়ে চেলে তবেই
দুর্গাপুরে বিজেপির চিন্তন শিবিরে সিদ্ধান্ত হয়, এবার আর সমস্ত নেতা-নেত্রীদের দলে নেওয়া যাবে না। রীতিমতো চালুনি দিয়ে চেলে তবেই বিজেপি অন্য দলের নেতা-নেত্রীদের দলে স্থান দেবে। এই মর্মে নির্দিষ্ট কয়েকটি নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, মণ্ডল, জেলা ও রাজ্যস্তরের বিশেষ কমিটি তৈরি হবে। তাঁরাই যাচাই করে নেবেন দলত্যাগীদের।
চিন্তন বৈঠকে সিদ্ধান্ত
চিন্তন বৈঠকে সুনীল দেওধর থেকে শুরু করে শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন-সহ কেন্দ্রীয় স্তরের অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা মূলত সংগঠনের উপর জোর দেন। সেইসঙ্গে সাবধান করেন, সংগঠন বাড়ানোর অর্থ দল ভাঙানো নয়। অন্য পার্টির সেই সমস্ত নেতাদেরই বিজেপিতে স্থান দেওয়া হবে, যাঁদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল।