রাজ্যপালকে প্রকাশ্যে বিদ্রুপ! 'নৈ-রাজ্যপাল' মন্তব্যে ব্রাত্য বসুকে পাল্টা জবাব লকেটের
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। গান্ধী জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে নৈ-রাজ্যপাল বলে বিদ্রুপ করায় পাল্টা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েেছ বলেই এই মন্তব্য করছেন মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন লকেট।

লকেটের আক্রমণ
রাজ্যপালকে বিদ্রুপ করায় ফুঁেস উঠলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ব্রাত্য বসুকে সরাসরি আক্রমণ করে লকেট বলেন, তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে বলেই মন্ত্রীরা এসব কথা বলছেন। রাজ্যের মানুষ রাজ্যপালের পাশে আছেন। এবং তাঁর পাশে থাকবেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

বিজেপির মুখপত্র
এর আগে একাধিকবার রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত বেঁধেছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপত্র বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন রাজ্যপাল কেবল বিজেপির হয়ে কাজ করে চলেছে। রাজ্য সরকারের কাজ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। তাতে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের তিক্ততা আরও বেড়েছে।

নৈ-রাজ্যপাল বলে কটাক্ষ
শুক্রবার গান্ধী জয়ন্তিতে রাজ্যপালের সামনেই তাঁকে নৈ-রাজ্যপাল বলে আক্রমণ শানিয়েছেন মন্ত্রী ব্রাত্যবসু। তিনি অভিযোগ করেছিলেন রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করা ছাড়া তাঁর কোনও কাজ নেই। সেসময সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কথা বলছিলেন মুখ্যসচিবের সঙ্গে।

মমতাকে খোঁচা ধনখড়ে
এর আগে গান্ধীজির স্মরণে টুইটে রাজ্যসরকারকে খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যপাল। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, বাপুর আদর্শই গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে অনুপ্রাণিত করবে। হিংসার বদলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।' রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে একাধিকবার মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। রাজ্যের পুলিস প্রশাসন শাসক দলের হয়ে কাজ করছে বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যপাল।
'তৃণমূলের বি-টিম কংগ্রেস, দিল্লি বললে দিদিমনির বাড়িতে চা খেয়ে আসবেন', অধীরকে নিশানা দিলীপের