‘আমি পুলিশ হলে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দিতাম’, তৃণমূলের ‘কেষ্টা’কে কে দিলেন এমন জবাব
ক-দিন আগেই মান্নান-বিকাশকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবার তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মারের নিদান দিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্যোপতপাধ্যায়।
কু-কথার যুদ্ধে এখন মারের রাজনীতি চলছে বঙ্গে। ক-দিন আগেই মান্নান-বিকাশকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবার তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মারের নিদান দিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্যোা পাধ্যায়। জয়ের কথায়, 'তিনি পুলিশ হলে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতাদের।'
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল পুলিশকে তিনঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার জন্য। আর পুলিশকে হাতের ঘড়ি দেখিয়ে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন, তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেবেন তিনি। এমনকী মান্নান-বিকাশদের মেরে হাত-পা ভেঙে দেবেন বলেও নিদান দেন। বলেন, 'এখানে উন্নয়ন হচ্ছে, কেউ এসে রাজনীতি করবে, বরদাস্ত করব না। অন্য জিনিস ঘটিয়ে দেব।'
এরপরই অনুব্রত-র নিন্দায় সরব হন রাজনীতিকরা। বিকাশ ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী থেকে শুরু করে অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নান-রা সমালোচনা করেন অনুব্রত মণ্ডলের। তবে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে মার-দাঙ্গার কথায় বাজার গরম করার চেষ্টা করেন দিলীপ ঘোষ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কু-কথায় পঞ্চমুখ হন বিজেপির জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত টার্গেট করে তিনি বলেন, 'মোটা লোকটা পুলিশকে এমনভাবে ধমকাচ্ছে যা দেখে আমারও খারাপ লাগছে। আমি যদি পুলিশ হতাম ডান্ডা পেটা করে শ্রীঘরে পাঠিয়ে দিতাম।'
এরপর পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিজেপি নেতা বলেন, 'আপনাদের তো একটা সম্মান রয়েছে। ভয় ভুলে নিজেদের বিবেক এবার জাগিয়ে তুলুন। ওইসব বেয়ারাদের ঠান্ডা করে দিন। ওদের বিরুদ্ধে চটজলদি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।' ওদের মতো লোকদের সামনে ভিজে বেড়ালের মতো কেন দাঁড়িয়ে থাকবে পুলিশ, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এর আগে অনুব্রত মণ্ডল পুলিশকে বোম মারার নিদান দিয়েছিলেন। ২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটের আগে নির্বাচনী জনসভা থেকে উসকা্নিমূলক এই কথা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এবার একেবারে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুলিশকে আঘুল তুলে হুঁশিয়ারি। তাঁদের কর্তব্য শিখিয়ে গেলেন তৃণমূলের অনুব্রত ওরফে কেষ্টা। তাঁর এই মন্তব্য দল সমর্থন করে না বলে মত প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।