তৃণমূলের সংগঠনের টাকা-পয়সা বাড়াতে নজর প্রশাসনের! মাতৃশক্তি নেমেছে রাস্তায়, হুঁশিয়ারি জয়প্রকাশের
তৃণমূলের সংগঠনের টাকাপয়সা বাড়াতে নজর প্রশাসনের!মাতৃশক্তি নেমেছে রাস্তায়, হুঁশিয়ারি জয়প্রকাশের
করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দল শত্রু নয়। এরা আদতে সাহায্যকারী দল। সমস্যার সমাধান করতেই এই দল এসেছে। এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। কিন্তু কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসার প্রথম দিন থেকেই শত্রু ভাবাপন্ন মনোভাব নিয়ে চলছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় দলকে পদে পদে বাধা
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় দলতে চলতে দিতে চাইছে না, ঘুরতে দিতে চাইছে না। এঁদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইছে না। সম্পূর্ণভাবে অসহযোগিতার বাতাবরণ তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই কাজে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত মুখ্যসচিব
বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা কোনও কোনও সময় এমন কথা বলছেন, যা কিনা তার মুখে মানায় না। তিনি বলেন মুখ্যসচিব কখনও বলতে পারেননি কেন্দ্রীয় দলকে সাহায্য করা হবে না। কেন্দ্রীয় দল আসার পর এমনভাবে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যেন পশ্চিমবঙ্গে আসতে গেলে ভিসা লাগবে।
কেন্দ্রের চিঠির জবাব দেয়নি রাজ্য
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কথা জানিয়ে রাজ্যকে চারটি চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সফররত কেন্দ্রীয় দল। কিন্তু তার কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, সমস্যার সমাধান করতেই এই দল এসেছে।
রাজ্য প্রশাসন ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসন চাইছে করোনা সম্পর্কিত তথ্য বিকৃত করতে। লাশ লুকোতে। করোনায় মৃত্যু কমিয়ে দেখাতে লাশ লুকনোর খেলায় নেমে এই সরকার। পাশাপাশি রেশন দুর্নীতি নেমেছে, যাতে তৃণমূলের দলের সংগঠনের টাকাপয়সা হয়। ভোটের দিকে নজর রেখে রেশন যাতে তৃণমূলীরাই বিতরণ করতে পারে, কিংবা চুরি করতে পারে, সেই খেলায় নেমেছে রাজ্য সরকার।
তৃণমূল নাটুকে দল
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, নাটকটা খুব তাড়াতাড়ি শেখে তৃণমূল কর্মীরা। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কার কাছ থেকে শেখে, তা জনসাধারণ জানে। তিনি বলেন খাদ্যের দাবিতে মাতৃশক্তি রাস্তায় নেমেছে। তাঁদের থামানোর ক্ষমতা তৃণমূলের নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জমাট বাঁধছে রক্ত, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে নতুন লক্ষ্মণে চিন্তায় চিকিৎসকরা