মুকুল ঘনিষ্ঠরা কাজের পরিসর পাচ্ছেন না, এবার ‘প্রমাণ’ দিলেন খোদ বিজেপি নেতাই
বিজেপিতে মুকুল রায় থেকে শুরু করে তাঁর অনুগামী নেতারা কাজের পরিসর পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার খোদ জেলা সভাপতি অডিও বার্তায় জানিয়ে দিলেন সে কথা।
বিজেপিতে মুকুল রায় থেকে শুরু করে তাঁর অনুগামী নেতারা কাজের পরিসর পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার খোদ জেলা সভাপতি অডিও বার্তায় জানিয়ে দিলেন, কোনও কাজ করতে দেওয়া হবে না বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতিকে। উল্লেখ্য, যাঁকে উদ্দেশ্য করে এই হুঁশিয়ারি, সেই সৌমিত্র খান মুকুল রায় অনুগামী বলেই শুরু থেকে পরিচিত।
মুকুল কাজের পরিসর পাচ্ছেন না, অভিযোগ ১
মুকুল রায়ের নাম জড়িয়ে বারবারই এই প্রতিকূলতা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, মুকুল রায় কাজের পরিসর পাচ্ছেন না। তৃণমূলে যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতেন মুকুল রায় বিজেপিতে নানা বাধার মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। তাঁকে কাজের পরিসরই দেওয়া হয় না বঙ্গ নেতৃত্বের তরফে। তা নিয়েই তৈরি হয় নানা জল্পনা।
দিল্লির বৈঠকে তুলকালাম বাঁধান অর্জুন, অভিযোগ ২
আবার মুকুল অনুগামী বলে পরিচিত সাংসদ অর্জুন সিং তো দিল্লির বৈঠকে তুলকালাম বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন বলে জোর শোরগেল পড়ে যায় রাজ্য-রাজনীতিতে। তিনি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে বলেছিলেন, এখানে কতিপয় ব্যক্তিই সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের করার কিছুই থাকে না। তাঁরা নামমাত্রই পদাধিকারী। যদিও তিনি পরে জানান, এমন ধরনের কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। পুরোটাই সংবাদমাধ্যমের তৈরি।
সৌমিত্রকে কাজ না করতে দেওয়ার বার্তা, অভিযোগ ৩
এরপর সৌমিত্র খানের তৈরি করা জেলা যুব মোর্চার সভাপতিদের তালিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তাঁর তৈরি করা তালিকা রাতারাতি বাতিল করে দেওয়া হয়। এখানেও প্রশ্ন ওঠে তাঁর দলে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। এরপর সেই সৌমিত্র খানকে টার্গেট করেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি। সৌমিত্রকে কাজ না করতে দেওয়ার কথা জানালেন অডিও বার্তায়।
মুকুল অনুগামী নেতাদের নিয়ে অ্যালার্জি বিজেপিতে
ফলে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের বিরুদ্ধেই শুধু নয়, গোটা বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠে গেল, তাহলে কি সত্যিই মুকুল অনুগামী নেতা বা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা দলের অন্দরে একঘরে। তাঁদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার নেই! নামকায়াস্তেই তাঁদের পদে রেখে দেওয়া হয়েছে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিও বার্তা
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি অডিও বার্তা। সেখানে বিষ্ণুপুরের সাংসদ তথা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান ও রাজ্যের সহ সভাপতির সৌগত পাত্রকে জেলায় দলীয় কোনও কর্মসূচি করতে না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এবং এক মণ্ডল সভাপতিকে পদ থেকে বরখাস্তের হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি।