দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ! এসএসকেএম-এ মৃত্যু বিজেপি নেতার
তৃণমূলের (trinamool congress) হামলায় বিজেপি(bjp) নেতা খুনের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে। মৃত ও বিজেপি নেতার নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। সোমবার গভীর রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই উত্তেজনা তৈরি হয় হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টার থানার মঙ্গলচণ্ডী গ্রামে।
দুর্গাপুজোর সমস্ত খবর, ছবি, ভিডিও দেখুন এক ক্লিকে
প্রায় ৩ মাস পরে সংক্রমণ নামল ৫০ হাজারে নিচে! ৫ রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি, বিপরীত অবস্থানে পশ্চিমবঙ্গ

১২ অক্টোবর এলাকায় বিজেপির সভার প্রস্তুতি
গত ১২ অক্টোবর হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জে বিজেপির সভা হওয়ার কথা ছিল। কৃষি সুরক্ষা বিল এবং আম্ফান দুর্নীতি নিয়ে পথ সভা করার কথা ছিল বিজেপির। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায়, শেষ পর্যন্ত সেই সভা হয়নি। কিন্তু সভার আয়োজন উপলক্ষ্যে এলাকা বিজেপি পতাকায় সাজানো হয়েছিল। যাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন, ২৩৪ নম্বর বুথের সভাপতি রবীন্দ্রমাথ মণ্ডল।

১৩ অক্টোবর পতাকা খোলা নিয়ে হামলা
অভিযোগ, ১৩ অক্টোবর বিজেপির পতাকা খুলতে শুরু করে তৃণমূল। বেশ কিছু পতাকা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যাতে বাধা দেয় বিজেপি। লোহার রড, বাঁশ, ধারালো অস্ত্র নিয়ে করা হামলায় আহত হন রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল-সহ ছয় জন। ৫ জনকে বসিরহাট হাসপাতালে পাঠানো হলেও, রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলকে পাঠানো হয় আরজি কর হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায়, তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার গভীর রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এলাকায় উত্তেজনা
এদিকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টার থানার মঙ্গলচণ্ডী গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হেমনগর কোস্টার থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

পরিবার ও বিজেপির দাবি
পরিবার ও বিজেপির তরফে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মীকে হত্যা
বিজেপির তরফে রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মীকে হত্যার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ১২০ জনের বেশি বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগও তোলা হয়েছে। এব্যাপারে যুব কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
