অনুব্রত-র 'পথে'ই এবার বিজেপি নেতা! প্রকাশ্য সভায় দিলেন এমনই সব নিদান
এবার পুলিশকে বোমা মারার নিদান দিলেন বর্ধমানের বিজেপি নেতা শ্যামল রায়। ইসলামপুরে গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ করে বিক্ষোভ সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে। সমাবেশস্থল ছিল বর্ধমান শহরের পারবিরহাট।
এবার পুলিশকে বোমা মারার নিদান দিলেন বর্ধমানের বিজেপি নেতা শ্যামল রায়। ইসলামপুরে গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ করে বিক্ষোভ সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে। সমাবেশস্থল ছিল বর্ধমান শহরের পারবিরহাট। সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই পুলিশ ও তৃণমূলকে আক্রমণের কথা বলেন বিজেপির এই যুবনেতা। তৃণমূলের তরফে বিজেপি নেতার মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূল ও পুলিশকে আক্রমণ করে বিজেপির যুব নেতা শ্যামল রায় বলেন, সামনে তৃণমূল কর্মীরা থাক, কিংবা পুলিশ, লাঠি মেরে মাথা ফাটিয়ে দিন। দরকারে বোমা মারুন। সামনে থেকে এইভাবে লড়াইয়ের পরামর্শ দেন তিনি। তারপর বলেন, কেস খেলে দল আছে আর মার খেলে আছে বর্ধমান হাসপাতাল।
শ্যামল রায় বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অনেকেই থানায় আটকে রয়েছেন বলে দাবি তাঁর। যাঁরা আটকে রয়েছে, তাঁর দলের ওপর ক্ষুব্ধ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইসলামপুরে পুলিশের গুলিতে দুজনের মৃত্যুর অভিযোগ ২৬ সেপ্টেম্বর বনধ ডেকেছিল বিজেপি। সেদিন পুলিশ গ্রেফতার করেছিল শ্যামল রায়কে। পরে অবশ্য জামিনে ছাড়া পেয়ে যান ওই নেতা।
বিজেপি নেতা শ্যামল রায়ের মতোই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি পুলিশকে বোমা মারার নিদান দিয়েছিলেন। যতটুকু ডানা যায়, এব্যাপারে পুলিশ অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি সেসময়।