২০১৪ সালের টেটের নিয়োগে দুর্নীতি'র অভিযোগ! সিবিআই চেয়ে হাইকোর্টে মামলা বিজেপির
স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে! যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। সরকারি দফতরে বসেই দিনের পর দিন ভুয়ো নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই কেলেঙ্কারি'র পর্দাফাঁস করার তদন্ত ইতিমধ্যে সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে অভিযোগ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

আর এর মধ্যেই এবার টেটের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। আর সেই দুর্নীতির একেবারে সুত্রে পৌঁছানো প্রয়োজন। আর সেই কারণে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিজেপির তরফে।
আজ বুধবার একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি করেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস ঘোষ। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে। তবে এহেন মামলায় নিঃসন্দেহে চাপ বাড়তে পারে শিক্ষা দফতরের।
এই মামলায় ব্রাত্য বসুর একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করা হয়েছে। যদিও এক সংবাদমাধ্যমকে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। তিনি সেই সময়ে দায়িত্বেই ছিলেন না।
অন্যদিকে মামলাকারী আবেদনকারীর দাবি, টেট পরীক্ষাতে যোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ করে দেওয়া হয়নি। টাকার বিনিয়মে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও মামলাকারী তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন। এর পিছনে শাসকদলের বহু মাথা জড়িত রয়েছে বলেও দাবি আবেদনকারীর।
তবে ২০১৪ টেট নিয়ে এটাই নতুন মামলা নয়, বিভিন্ন সময়ে একাধিক মামলা হয়েছে। সেই সমস্ত মামলাতে আদালত বহুক্ষেত্রেই তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু কখনও সঠিক ভাবে তদন্ত হয়নি বলে দাবি মামলাকারীর। মেধা তালিকার মধ্যেও সচ্ছতা নেই বলে দাবি করা হয়েছে ওই মামলাতে।
খুব শিঘ্রই এই সংক্রান্ত মামলা'র শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা'র গতিপ্রকৃতি কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই এখন নজর সব পক্ষের। টেট পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। অনেকেই এমন অভিযোগ করেছেন। আর এর মধ্যে এই মামলা অভিযোগে নয়া মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছে আইনজীবীদের একাংশ।
বলে রাখা প্রয়োজন, এসএসসি'তে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এফআইআর করেছে সিবিআই। আর সেই মতো মামলার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আর সেই এফআইআরের সুত্র ধরেই সম্ভবত গোটা ঘটনার তদন্ত করতে পারে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও।
ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে ইডির তদন্তকারীরা খোঁজখবর নিয়েছেন বলেও খবর।