সৌমিত্র খাঁ-র গা থেকে এখনও তৃণমূলের গন্ধ যায়নি! তাই বিজেপির করণীয় বোঝালেন নেতা
মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ সৌমিত্র খান বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাংসদ হয়েছেন, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর গা থেকে এখনও তৃণমূলের গন্ধ যায়নি।
মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ সৌমিত্র খাঁ বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাংসদ হয়েছেন, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর গা থেকে এখনও তৃণমূলের গন্ধ যায়নি। তাই তাঁর সঙ্গে কী করতে হবে অডিও বার্তায় বুঝি্য়ে দিলেন জেলা সভাপতি। তিনি ফলাও করে ঘোষণা করে দিলেন সৌমিত্র ও তাঁর অনুগামীদের জন্য কী করণীয়।
ওঁর শরীরে এখনও টিএমসির গন্ধ!
বিজেপির বাঁকুড়া জেলার সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র জানিয়েছেন, সৌমিত্র খাঁ সাংসদ হতে পারেন, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি হতে পারেন, আমি কিন্তু ওর চামচা নই। কেননা ওঁর শরীরে এখনও টিএমসির গন্ধ লেগে রয়েছে। ও বিজেপির নীতি-আদর্শ মেনে কী করে কাজ করবেন, বিজেপির নীতি-আদর্শ ও কিছুই বোঝে না!
জেলার কর্মসূচিতে বয়কট সৌমিত্রকে
তিনি এরপর সৌমিত্র খাঁ ও তাঁৎ অনুগামী সৌগত পাত্রের সঙ্গে কী করণীয় তাও বুঝিয়ে দেন। তিনি সৌমিত্র খাঁ ও তাঁর অনুগামীদের বয়কট করবেন। জেলায় তাঁদের কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না। তাঁর জেলায় কোনওরকম অস্থিরতা তিনি মানবেন না। এর ফলে প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব ও বিরোধ।
বিজেপিতে কাজের পরিসর নেই তৃণমূলত্যাগীদের
বিজেপিতে যে তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া নেতা-নেত্রীরা সুখে নেই, এটা তার একটা বড় প্রমাণ। মুকুল রায়রা যে কাজের পরিসর পাচ্ছেন না বলে এতদিন অভিযোগ উঠত, তাও যে ভুল নয়, এই ঘটনা সেটাও প্রমাণ করে। মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সৌমিত্র যুব মোর্চার রাজ্য সভপতি হয়েও পদে পদে ঠোক্কর খাচ্ছেন।
বিজেপি নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন অর্জুন
মুকুল অনুগামী বলে পরিচিত আর এক সাংসদ অর্জুন সিং তো দিল্লির বৈঠকে তুলকালাম বাধিয়ে দিয়েছিলেন এমনই এক অভিযোগে। তিনি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে বলেছিলেন, এখানে কতিপয় ব্যক্তিই সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের করার কিছুই থাকে না। তাঁরা নামকায়াস্তে পদাধিকারী। যদিও তিনি পরে জানান, এমন ধরনের কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। পুরোটাই সংবাদমাধ্যমের তৈরি।
সৌমিত্র খানকে টার্গেট বিজেপির
এরপরই সৌমিত্র খানের তৈরি করা জেলা যুব মোর্চার সভাপতিদের তালিকা নিয়ে বিতর্ক বাধে বিজেপিতে। সৌমিত্রর তৈরি করা তালিকা রাতারাতি বাতিল করে দেওয়া হয়। এখানেও প্রশ্ন ওঠে দলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। এবার সেই সৌমিত্র খানকে টার্গেট করেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি। সৌমিত্রকে কাজ না করতে দেওয়ার কথা জানালেন অডিও বার্তায়।
নামকায়াস্তেই পদ, একঘরে মুকুল অনুগামীরা
এই ঘটনায় বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের বিরুদ্ধেই শুধু নয়, গোটা বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠে গেল, তাহলে কি সত্যিই মুকুল অনুগামী নেতা বা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা দলের অন্দরে একঘরে। তাঁদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার নেই! নামকায়াস্তেই তাঁদের পদে রেখে দেওয়া হয়েছে?