'গরীবের সম্পত্তি লুঠ করে বিদেশে ফুর্তি করতে যাবে', অভিষেকের শ্যালিকা মানেকাকে ইঙ্গিত করে বিস্ফোরক দিলীপ
'গরীবের সম্পত্তি লুঠ করে বিদেশে ফুর্তি করতে যাবে', অভিষেকের শ্যালিকা মানেকাকে ইঙ্গিত করে বিস্ফোরক দিলীপ
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে গতকাল ব্যাঙ্ককে যেতে দেয়নি ইডি। এক প্রকার ইডির এই পদক্ষেপকে প্রকাশ্যে সমর্থন জািনয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, কোনও তৃণমূল নেতা ও তাঁদের আত্মীয়রা যেন দেশ ছাড়তে না পারে, প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিৎ।
মানেকাকে নিশানা
'গরীবের সম্পত্তি লুঠ করে বিদেশে ফুর্তি করতে যাবে আর এখানে লোক খেতে পাবে না। ফ্রি রেশন পর্যন্ত লুঠ করে নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক লোকের পিছনে ইনটেলিজেন্সের লোককে লাগানো উচিৎ এবং তাঁদের আশপাশের লোককে জেরা করা উচিৎ। তৃণমূল নেতাদের টাকা রাখার জায়গা নেই।' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে উদ্দেশ্য করে ইঙ্গিত পূর্ণ বার্তা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেছেন,কোনও তৃণমূল নেতা ও তাঁদের আত্মীয়রা যেন দেশ ছাড়তে না পারে, প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিৎ।
মেনকাকে ব্যাঙ্ককে যেতে বাঁধা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে ব্যাঙ্ককে যেতে বাধা দেওয়া হয়। তাঁকে বিমানবন্দরেই আটকে দেয় ইডির অফিসাররা। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কয়লাকাণ্ডে কয়েকদিন আগেই তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে। প্রথমে দিল্লিতে তলব করা হয় তাঁকে। তারপরে হাইকোর্টের অনুমতি িনয়ে কলকাতায় জেরা করার কথা বলা হয়। কিন্তু তারপরেও হাজিরা এড়িয়েছেন মেনতা। তারপরেই তিনি ব্যাঙ্ক যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
টিএমসিকে নিশানা দিলীপের
রাজ্যে একের পর এক অভিযানে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। গতকাল গার্ডেনরিচে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। তার আগে একের পর এক িটএমসি নেতার বাড়িতে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন 'দিদি বলছে টাকা নেই টাকা নেই। বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছেন। এদিকে টাকা তো সব খাটের তলায় পুঁটলি বেঁধে রাখা আছে। কেউ কোনওদিন ভেবেছিল লোকের খাটের তলায় বাড়িতে বাড়িতে এত টাকা পাওয়া যাবে! আর ববি হাকিম বলছেন এই টাকা ধরে নেওয়াতে নাকি বাংলার অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। কে ভেবেছিল বাংলার অর্থনীতি কালো টাকা দিয়ে চলবে? এটাকে সরকার সাপোর্ট করছে। তৃণমূলের নেতাদের কষ্ট হচ্ছে। এখানে পুলিশ আছে, সিআইডি আছে। তারা কী করে, কেউ জানে না। কেউ কোনওদিন এই টাকার কথা বলেনি।'
তৎপর সিবিআই
কয়লা কাণ্ড থেকে গরুপাচার কাণ্ড একাধিক ইস্যুতে সিবিআই তৎপর হয়েউঠেেছ রাজ্যে। দিলীপ ঘোষ বলেছেন 'কিছু করার নেই, কারণ সবকটা আধিকারিক দাগী। তৃণমূল তাঁদের কর্মীদের ঝান্ডা ধরা ও লুঠ করা শেখানোর পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকদেরও তা করতে বাধ্য করেছে। এখন তাঁদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এদের উপরে তো জায়গা হবেই না, তার আগে যেন এদের সকলের জেল হয়ে যায়।''
২০২৪-এ মোদীকে হটাতে চাই গ্রহণযোগ্য মুখ, বিরোধী ঐক্য নিয়ে সরব প্রশান্ত কিশোর