২০১৯-এর পর কেড়ে নেওয়া হবে অক্সিজেন সিলিন্ডার! কেষ্টকে আর যা হুঁশিয়ারি দিলীপের
আবারও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের। এবার তিনি বললেন, ২০১৯-এর পরে উন্নয়ন রাস্তায় শুয়ে পড়বে। পায়ের জোর থাকবে না। একেবারে শুয়ে পড়বে।
আবারও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের। এবার তিনি বললেন, ২০১৯-এর পরে উন্নয়ন রাস্তায় শুয়ে পড়বে। পায়ের জোর থাকবে না। একেবারে শুয়ে পড়বে। উনিশ সালের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌঁছে দেওয়া অক্সিজেন সিলিন্ডার কেড়ে নেওয়া হবে বলেও জানান দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির হুঁশিয়ারি সবে জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে। পাবলিক পেটাচ্ছে। কুকুরকে যেমন রাস্তায় পেটানো হয়, তেমনই কাউন্সিলরকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়েছে। নেতাদের গণপিটুনি দেওয়া শুরু হয়েছে। একটা নেতাও বাঁচবে না। মানুষের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় তারাই মার শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন পাবলিকের মার, দুনিয়ার মার।
দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শরীরের সব জায়গায় ব্যান্ডেজ বাধা থাকবে। কোথাও বাদ থাকবে না।
উদাহরণ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, দেশের কুড়িটি রাজ্যে বিজেপির সরকার। আর তিনটি রাজ্যে অন্যদলের সঙ্গে সমঝোতা করে সরকার চলছে। দেশের ৮০ শতাংশে ক্ষমতায় তাঁরা।
পঞ্চায়েত ভোটে ৩৪ শতাংশ আসনে মনোনয়ন জমা না দিতে দেওয়ার অভিযোগও করেন। এখানে ভোটও অন্য লোকে দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার পরেও বোর্ড গঠনে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের দাবি, রাজ্যে তৃণমূলের পিছনোর দিন শুরু হয়েছে। আর বিজেপির এগনোর দিন শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। এপ্রসঙ্গে সিঙ্গুরের কথা উল্লেখ করেন তিনি। কৃষকদের জমি ফেরতের কথা থাকলেও, শুধু কাগজ দেওয়া হয়েছে। আর জমিতে কাশ ফুল ফুটে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।