নেতাজির হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে বিতর্কের জের, দল ছাড়ার মুখে চন্দ্র বসু
সিএএ ইস্যুতে দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্র বসুর। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তিনি সিএএ নিয়ে দলের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দল যদি আইন সংশোধন না করে, তাহলে বিজেপি ছাড়ার কথা চিন্তা করবেন তিনি।

নেতাজি স্ট্যাচুর ছবি নিয়ে বিতর্ক
নদিয়ায় নেতাজি স্ট্যাচুর একটি ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যেখানে বিজেপি যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্ট্যাচুতে নেতাজির হাতে বিজেপির পতাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কড়া সমালোচনায় চন্দ্র বসু
বিজেপির পতাকা হাতে প্রকাশিত ছবির কড়া সমালোচনা করেছেন চন্দ্র বসু। তিনি বলেছেন, দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এব্যাপারে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবেন বলেই তিনি মনে করেন।

নেতাজির আদর্শে রাজনীতি
চন্দ্র বসু বলেন, তিনি ২০১৬-র জানুয়ারিতে বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময়ে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেছিলেন, নেতাজির আদর্শের ওপর ভিত্তি করে তিনি রাজনীতি করবেন। নেতাজির নির্দেশিত পথ তিনি অস্বীকার করতে পারেন না। যদি তা না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তার বিজেপিতে থাকা নিয়ে ভাবতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন।

রাজনীতির উর্ধ্বে নেতাজি
নেতাজি সম্পর্কে চন্দ্র বসু বলেছেন, সুভাষচন্দ্র বসু রাজনৈতিক ব্যক্তি হলেও, তিনি ছিলেন রাজনীতির উর্ধ্বে। চন্দ্র বসু বলেন, তিনি মনে করেন না কোনও রাজনৈতিক দলই আজ নেতাজিকে তাদের বলে দাবি করতে পারে।

সিএএতে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করেছিলেন
নেতাজির নাতি চন্দ্র বসু বলেছিলেন, সিএএ নিয়ে এই যে আন্দোলন সারা ভারত জুড়ে চলছে, এটি সমাধান করা খুবই সহজ। বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, সরকার যদি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান সবাই, নাগরিকত্ব পাবে, তাহলেই বিষয়টির সমাধান হয়ে যায়। ধমক দিয়ে কোনও আইন কার্যকরী করা যায় না বলেছেন তিনি। সামান্য সংশোধনের মাধ্যমে তিনি সিএএকে সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছিলেন। এপ্রসঙ্গে তিনি গান্ধীজির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, গান্ধীজি প্রতিবেশী দেশ থেকে আগতদের আশ্রয় দিতে বলেছিলেন, কিন্তু কোনও ধর্মের কথা উল্লেখ করেননি।

বিরোধী প্রচার থেমে যাবে কয়েক সেকেন্ডে
তিনি বলেন, সরকার যদি সিএএ নিয়ে সংশোধনী আনে তাহলে কয়েক সেকেন্ডেই বিরোধীদের প্রচার থেমে যাবে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সবসময়ই বলেছে সিএএ-তে কোনও ধর্মের কথা বলা নেই। যদি তা কোনও ধর্মের ওপর ভিত্তি করে না হয়, তাহলে তা নিয়ে আরও পরিষ্কার হওয়া উচিত।

পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ
সিএএ নিয়ে চন্দ্র বসুর প্রতিক্রিয়ার পরেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন ছিল, তাঁকে(চন্দ্র বসু) কে নেতা বানিয়েছে। কটা ভোট পেয়েছিলেন, আগে একটা পঞ্চায়েত জিতে আসুন, তারপর বড় বড় কথা বলবেন, মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

এনপিআর-এ কি বাবা-মায়ের যাবতীয় তথ্য পেশ করতে হবে! কী জানাচ্ছে কেন্দ্র