ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি নিয়ে ফের সরব! দলের অবনমন নিয়ে নয়া হুঁশিয়ারি চন্দ্র বসুর
অনুরোধ সত্ত্বেও বদলানো হয়নি আসন! দলের অবনমন নিয়ে হুঁশিয়ারি চন্দ্র বসুর
সিএএ ইস্যুতে দলের পদক্ষেপে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসু। এবার বিভিন্ন ইস্যুকে দলের অবস্থানকে আক্রমণ করলেন তিনি। ভোট ব্যাঙ্কের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিজেদের মন্তব্য সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত। পাশাপাশি নাম না করে দলের অধঃগতি শুরু হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি।
|
বিচারপতি সহায় কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনায় প্রশ্ন
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে বিচারপতি সহাই কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনায় প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্র বসু। মানুষ কমিশনের রিপোর্ট জানতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত ২০২৮ সালে গুমনামি বাবা নেতাজি কিনা তা নিয়ে তদন্ত করতে বিচারপতি বিষ্ণু সহায় দিয়ে কমিশন গঠন করেছিল কেন্দ্র।
|
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মুখে লাগাম চান চন্দ্র বসু
ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞ বলে মনে করেন চন্দ্র বসু। এপ্রসঙ্গে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোটে জন্য যেসব বিতর্কিত মন্তব্য করছেন, তাও ঠিক নয় বলেও মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত বর্তমান সময়ে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের বিতর্কিত মন্তব্য করতে বেশি দেখা যাচ্ছে। রাজ্যের ক্ষেত্রে এব্যাপারে দিলীপ ঘোষের নাম উল্লেখযোগ্য। কেন্দ্রীয়ভাবে বর্তমান সময়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কিংবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের নাম উল্লেখযোগ্য।
|
অনুরোধ মানেনি দল
বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু টুইট করে বলেছেন, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছিল। আবার ২০১৯-এ তাঁকে দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী করা হয়েছিল। দুটিই তৃণমূলের শক্তিঘাঁটি বলে পরিচিত। লোকসভা ভোটের আগে তিনি দলকে অনুরোধ করেছিলেন জেলায় আসন দেওয়ার জন্য, তা মানা হয়নি। তা হলে তিনি সহজেই জিততে পারতেন বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে রাজনীতি সবসময়ই সম্ভাবনাময়।
|
নাম না করে দলের অবনমন নিয়ে হুঁশিয়ারি
নাম না করে দলের অবনমন নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চন্দ্র বসু।
স্ট্যাচুতে নেতাজির হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে বিতর্ক
নদিয়ায় নেতাজি স্ট্যাচুর একটি ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল দিন কয়েক আগে। যেখানে বিজেপি যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। স্ট্যাচুতে নেতাজির হাতে বিজেপির পতাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির পতাকা হাতে প্রকাশিত ছবির কড়া সমালোচনা করেছিলেন চন্দ্র বসু।
সিএএতে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন নিয়েও বিতর্ক
নেতাজির নাতি চন্দ্র বসু বলেছিলেন, সিএএ নিয়ে এই যে আন্দোলন সারা ভারত জুড়ে চলছে, এটি সমাধান করা খুবই সহজ। বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, সরকার যদি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান সবাই, নাগরিকত্ব পাবে, তাহলেই বিষয়টির সমাধান হয়ে যায়। ধমক দিয়ে কোনও আইন কার্যকরী করা যায় না বলেছেন তিনি। সামান্য সংশোধনের মাধ্যমে তিনি সিএএকে সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছিলেন। এপ্রসঙ্গে তিনি গান্ধীজির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, গান্ধীজি প্রতিবেশী দেশ থেকে আগতদের আশ্রয় দিতে বলেছিলেন, কিন্তু কোনও ধর্মের কথা উল্লেখ করেননি।
দিল্লি পুলিশকে ব্যবহার করছে বিজেপি! শাহিনবাগ গুলিচালনার ঘটনায় পাল্টা তোপ কেজরিওয়ালের