ফেসবুককাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেতা, কেন গ্রেফতার হবেন না ডেরেক, প্রশ্ন দিলীপের
বসিরহাট তথা বাদুড়িয়ার ঘটনায় বিজেপির কোনও যোগসূত্র না পেয়ে রামনবমীর সময় করা ফেসবুক পোস্টকে হাতিয়ার করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল, অভিযোগ দিলীপ ঘোষের।
ফেসবুকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিজেপির আইটি সেলের সম্পাদককে। তাঁর গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি প্রশ্ন তুলে দিল তাহলে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে গ্রেফতার করা হবে না কেন? তিনিও ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগ অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে ডেরেক ও'ব্রায়েনকে।
পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুর থেকে বিজেপি নেতা তরুণ সেনগুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি বিজেপির আইটি সেলের সম্পাদক। তরুণবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট করেছিলেন। রাম নবমীর সময় এই পোস্ট করা হয়েছিল। দিলীপবাবু তাই প্রশ্ন তোলেন, রাম নবমীর সময় করা পোস্টের জন্য এতদিন পরে কেন গ্রেফতার করা হল?
তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই গ্রেফতারি। তৃণমূল প্রমাণ করতে চায় রাজ্যে হিংসার জন্য দায়ী বিজেপিই। সম্প্রতি রাজ্যে যে ধর্মীয় বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তার পিছনে বিজেপি আছে বলে অভিযোগ তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। বসিরহাট তথা বাদুড়িয়ার ঘটনায় বিজেপির কোনও যোগসূত্র না পেয়ে রামনবমীর সময় করা ফেসবুক পোস্টকে হাতিয়ার করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে প্রবল চাপে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই চাপ কাটাতেই রাজ্যের শাসকদল পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি নেতাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসাতে চাইছে বলে অভিযোগ করলেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, 'আমরা এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। সেই আন্দোলন থেকেই দাবি তোলা হবে তৃণমূল সাংসদ ডেকের ও'ব্রায়েনকে গ্রেফতারির।
উল্লেখ্য, ডেরেক ওব্রায়েনের বিরুদ্ধে যে ছবি নিয়ে অভিযোগ সেই ছবিটিতে মোদীর মুখ সরিয়ে বসানো হয়েছিল প্রকাশ কারাতের মুখ। ডেরেকের পোস্ট করা সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নেতা প্রকাশ কারাতকে। কিন্তু প্রকৃত ছবিটি ছিল রাজনাথ সিং মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।