মমতাকে 'পথ দেখাতে' সময় দিলেন অর্জুন, টানলেন সংস্কৃত শ্লোক
মমতাকে 'পথ দেখাতে' সময় দিলেন অর্জুন, টানলেন সংস্কৃত শ্লোক
বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি। ঠিক এই ভাষাতেই রাজ্যপালকে নজরুল মঞ্চে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ঢুকতে বাধা দেওয়ার সমালোচনা করলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, রাজ্যে সাংবিধানিক পদকে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না।
'বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি'
রাজ্যপালকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে না ঢুকতে দেওয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে অর্জুন সিং প্রথমেই উল্লেখ করেন সংস্কৃত শ্লোকের কথা। বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার দলের বিনাশকাশ এসে গিয়েছে। তাই জন্য এসব করছে।
'রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট'
অর্জুন সিং-এর অভিযোগ রাজ্যে সাংবিধানিক পদকে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে হ্যাকেল করা হচ্ছে। এর থেকেই আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে সাংবিধানিক সংকট দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। অর্জুন সিং বলেন, সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন।
'পুলিশের মুখে জয় শ্রীরাম'
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্জুন সিং দাবি করেছেন, পুলিশকর্মীরা তাদের ওপর লাঠি চালালেও, কোনও অ্যাকশনে যাওয়ার আগে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে যান। এর থেকেই বোঝা যায় তাঁরা কী চাইছেন। বিজেপিকে মারার আগেই লাটবাগানের পুলিশ কর্মীরা এই কাজ করেছেন, যা তিনি নিজের কানে শুনেছেন বলে জানিয়েছেন অর্জুন সিং।
মমতাকে মিথ্যাবাদী বলে কটাক্ষ
এর আগে অর্জুন সিং বহু বছর আগেকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক হুমকির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সেই সময় কংগ্রেসে ছিলেন তিনি। সুলতান আহমেদ, শংকর সিং, অধীর চৌধুরীকে টিকিট দেওয়া হলে তিনি গলায় ফাঁস দেবেন। ঘটনাটি ঘটেছিল আলিপুর ট্রেজারি বিল্ডিং-এর কাছে। দিদিমনি নিজের শাল দিয়ে গলায় ফাঁস দিচ্ছেন, আর তাঁরা(অর্জুন) দিদিকে টানছেন, গলায় ফাঁস দেবেন না। সেই শংকর সিং আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। সেই সুলতান আহমেদ দলের সাংসদ ছিলেন। অর্জুন সিং-এর কটাক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যা ওখান থেকে শুরু হয়, এখানেই শেষ হয়।