প্রাক্তন মন্ত্রী তপন শিকদারের জীবনাবসান
রাজ্যে বিজেপি-র পরিচিত মুখ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তপন শিকদার ১৯৪৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। বাবা ডি এন শিকদার ছিলেন নামকরা ডাক্তার। রাজনীতিতে ছোটো থেকেই আগ্রহ ছিল তপনবাবুর।
১৯৯৮ সালে দমদম লোকসভা আসন থেকে জিতে সাংসদ হন। অটলবিহারী বাজপেয়ী খুবই স্নেহ করতেন তপনবাবুকে। দক্ষ সংগঠক ও মিশুকে মানুষ হিসাবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালেও ত্রয়োদশ লোকসভা ভোটে জয়লাভ করেন। যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে কিছুদিন রসায়ন ও সার মন্ত্রক সামলেছিলেন। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও তিনি লড়েন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায়ের কাছে পরাজিত হন।
গত ২৭ মে তিনি হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছুদিন কলকাতায় চিকিৎসার পর ৩০ মে তাঁকে এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা যে ভালো নয়, সেটা গতকালই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। শেষ পর্যন্ত এদিন ভোররাতে তাঁর জীবনাবসান হয়। তপনবাবুর মৃত্যুতে রাজ্য বিজেপি-র অপূরণীয় ক্ষতি হল সন্দেহ নেই। তাঁর প্রয়াণে শোক ব্যক্ত করেছে বিভিন্ন মহল। রাজ্য বিজেপি-র তরফে শোক জানিয়েছেন রাহুল সিনহা, শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অমিতাভ নন্দী বলেছেন, "তপনবাবুর সঙ্গে আমার মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো ছিল। ওঁর মন ছিল খুব উদার। অসহায় মানুষকে সব সময় সাহায্য করতেন।"
দিল্লিতে তপন শিকদারের মরদেহে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং. লালকৃষ্ণ আদবানি প্রমুখ।