ভোটের আগে ভেটের টাকা! পুলিশের জালে মুকুলের তিন ছায়াসঙ্গী, বেকায়দায় বিজেপি
বেআইনি টাকা লেনদেনের অভিযোগে মুকুলের ছায়াসঙ্গী দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগেও গ্রেফতার করা হয় এক বিজেপি নেতাকে।
বেআইনি টাকা লেনদেনের অভিযোগে মুকুলের ছায়াসঙ্গী দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগেও গ্রেফতার করা হয় এক বিজেপি নেতাকে। একের পর এক নেতার গ্রেফতারে পঞ্চায়েত ভোট শুরুর অন্তিম মুহূর্তে বিপাকে পড়েছে বিজেপি। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিজেপি বেকায়দায়।
[আরও পড়ুন:ট্যাংরায় কর্মী খুনে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী! জেনে নিন বিস্তারিত]
এবার এই দুই জেলা বিশেষভাবে টার্গেট করেছিল বিজেপি। কিন্তু এই দুই জেলাতেই পঞ্চায়েত ভোটের আগেই টাকার বেআইনি লেনেদেনের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপি দুই শীর্ষ নেতা। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার জানান, ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন ওই দুই ব্যক্তি। ভোটের আগে টাকা বিলানোর অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। ধৃত শুভঙ্কর ঘোষ জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সহ সম্পাদক আর রাজু ঘোষ আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সহ সভাপতি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে টাকা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি এই মর্মে জানান, বিজেপি নেতারা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে আনছিলেন পার্টি ফান্ড থেকে। তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে তাঁরা ওই টাকা দিয়ে দেবেন।
জলপাইগুড়িতে সাত লক্ষ টাকা প্রতারণার ঘটনায় প্রবাল রাহা নামে মুকুল রায়ের এক ছায়াসঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ধৃতকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে বিজেপি প্রচারে তিনি অনেক টাকা দিয়েছেন। এরপরই পুলিশ জানতে পারে শুভঙ্কর ঘোষের নাম। শুভঙ্কর ঘোষকে জেরা করে জানা যায়, তিনি বিজেপির প্রচারের জন্য প্রবার রাহার কাছ থেকে টাকা পেয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা শুভঙ্কর ঘোষ ১৩ লক্ষ টাকা নিয়ে আলিপুরদুয়ার যাচ্ছিলেন। তা থেকে তিন লক্ষ টাকা তিনি কালচিনির বিজেপি নেতা অতুল সুব্বাকে দেন। তারপর আলিপুরদুয়ারের একটি রিসর্ডে আসেন বাকি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে। রিসর্টে অপেক্ষা করছিলেন আলিপুদুয়ারের বিজেপি নেতা রাজু ঘোষ। তাঁর হাতে টাকা তুলে দেওয়ার কথা ছিল শুভঙ্করের।
ওই টাকা বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে দেওয়ার কথা ছিল। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী এই বেআইনি লেনদেনের কথা উড়িয়ে দেন। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদের নেতাদের।
[আরও পড়ুন:নাগরিকত্ব ইস্যুতে ফের উত্তপ্ত অসম! বিলের বিরোধিতায় সরকারের সমর্থক দলও]