২০২১-এর লক্ষ্যে নয়া পরিকল্পনা! তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে অমিত শাহের কাছে 'তালিকা' পাঠাচ্ছে বিজেপি
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপি (bjp) । তাদের অভিযোগ গত ১৫ দিনে তাদের ৪ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সেই কারণে নিজেদের মতো করেই পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। রাজ্যের প্রত্যেক ব্লক এবং জেলায় সন্দেহজনক দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করছে তারা, যারা কিনা ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে (assembly election) সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। এই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।
প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি মোদী, অমিত শাহ! এবার মমতায় মুগ্ধ বিমল গুরুং, ঘোষণা করলেন সিদ্ধান্ত

ব্লক ও জেলার দুষ্কৃতীদের তালিকা করছে বিজেপি
প্রশাসনে গেঁড়ে বসেছে তৃণমূল। তাই এলাকার দুষ্কৃতীরাও তাদের সাহায্য করছে। তারাই তৃণমূলের হয়ে হামলা চালাচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে চায় বিজেপি। তাই এখন থেকেই ব্লক এবং জেলার দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনে ঝামেলা তৈরি করতে পারে এমন সম্ভাব্য অভিযুক্তদের একটি তালিকা তৈরি করে অমিত শাহের মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

তালিকা তৈরি হচ্ছে মমতা ঘনিষ্ঠ আইএএস, আইপিএসদেরও
এছাড়াও সরকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ আইএএস এবং আইপিএস-দের একটি তালিকা তৈরি করছে গেরুয়া শিবির। সাধারণভাবে আইএএস, আইপিএস অফিসাররা কোনও দলের অনুগত হতে পারেন না। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ রাজ্যের আমলাদের একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তাঁদের বিরুদ্ধে যেন ভোটের আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সূত্রের খবর অনুযায়ী, এমনটাই দাবি রাজ্য বিজেপির। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং জানিয়েছেন, রাজ্যের ২৬ জন আইপিএস-এর ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। আর আরও নিচের দিকে এই সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। যা কিনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অর্জুন সিং। এব্যাপারে লকেট চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে পুলিশ অনুমতি না দিলেও তৃণমূলকে অনুমতি দেওয়া হয়। তৃণমূলের গুণ্ডাদের না গ্রেফতার করে বিজেপি সামনে সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

একইমাসে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা অবনতির একের পর এক ঘটনা
বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ রাজ্যে অক্টোবরে একের পর এক আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটনা ঘটেছে। প্রথম ঘটনাটি হল ৪ অক্টোবর টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুন। ৮ অক্টোবর বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ। এরপর বেলেঘাটার বন্ধ ক্লাবের মধ্যে বিস্ফোরণ। যেই ঘটনায় বিজেপির তরফে এনআইএ তদন্তের দাবি তোলা হয়েছিল।
বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি করা হয়েছে। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেছেন, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না হলে রাজ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তবে এব্যাপারে তারাও সতর্ক। কেননা, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি শহিদের মর্যাদা পেয়ে যান, তাহলেও সমস্যা তৈরি হতে পারে।

তৃণমূলের তরফে অভযোগ অস্বীকার
যদিও তৃণমূলের তরফে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সব থেকে বেশি সৎ। তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেন।