বিজেপির মাথায় জাঁকিয়ে বসেছেন তৃণমূলছুটরা! বুমেরাং হবে না তো ২০২১-এ! বাড়ছে ক্ষোভ
বিজেপির মাথায় জাঁকিয়ে বসেছেন তৃণমূলছুটরা! বুমেরাং হবে না তো ২০২১-এ! বাড়ছে ক্ষোভ
বিজেপিতে এখন অন্য দল থেকে আসা নেতাদের ভিড়। তাঁরাই এখন মাথায় বসেছে বিভিন্ন সংগঠনের। অথচ যাঁরা এতদিন দল করে এল, তাঁরা রয়ে গেলেন পিছনে। তাঁদেরকে সামনের সারিতে তুলে আনা হল না। তাই দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে চাপা ক্ষোভ। এইভাবে আদি নেতাদের মনস্তাপ নিয়ে কি বিজেপি লক্ষ্যপূরণ করতে পারবে বাংলায়? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এবার।
মুকুলপন্থীদের আনাগোনা, চাপে আদিরা
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির নয়া কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই কমিটিতে আধিপত্য দলত্যাগীদেরই। অর্থাৎ নব্য বিজেপিই শাখা প্রশাখা বিস্তার করে বসেছে বিজেপির মাথায়। মুকুলপন্থীদের আনাগোনায়, যাঁরা আদি বিজেপি তাঁরা বেশ চাপে। হয়তো বিদ্রোহের আগুন এখনও জ্বলেনি, কিন্তু ক্ষোভ যে চাপা থাকছে তাও নয়!
এতদিন দল করে কী পেলেন? চাপা ক্ষোভ
প্রশ্ন একটাই তাঁরা তাহলে এতদিন দল করে কী পেলেন? তাঁদের কথা তো কেউ ভাবল লা। ২০২১৯-এর আগে দলবদল করে তাঁরা সাংসদের টিকিট পেলেন। আবার ২০২১-এর লক্ষ্যে এলেন বিজেপির রাজ্য সংগঠনে। সাংগঠনিক পদ নিয়ে তাঁরা এখ বিজেপির মাথায় চড়ে বসেছে।
যদি বিধানসভায় বিজেপির টিকিট পাওয়া যায়
এমনকী ২০১৯-এর ফের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা ও পেয়েছেন স্বীকৃতি। এই অবস্থায় হাত কামাড়ানো কিছু করার নেই। এখন একটা পথই খোলা যদি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট পাওয়া যায়। কিন্তু সে আশাও যে বৃথা হবে, তাঁরা জানেন বিলক্ষণ।
আদিদের কথা ভাবার লোক কম
নির্বাচন কমিটির মাথায় আছেন মুকুল রায়। বিভিন্ন শাখা সংগঠনের মাথায় বসে আছেন তাঁর অনুগামী সৌমিত্র খান, দুলাল বর, খগেন মুর্মুরা। আবার মূল সংগঠনে আছেন সব্যসাচী দত্ত, অর্জুন সিং, ভারতী ঘোষ, মাফুজা খাতুনের মতো নেতা-নেত্রীরা। তাই আদিদের কথা ভাবার লোক কম। বিধানসভায় টিকিটের শিকেও হয়তো ছিঁড়বে না তাঁদের।
২০২১-এর আগে বুমেরাং হতে পারে বিজেপিতে
এমতাবস্থায় দলের মধ্যে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠা অস্বাভাবিক নয়। এই আগুন মুকুল-দিলীপরা কী করে নেভান কিংবা মোদী-শাহরা এমনকী টোটকা দেন, যাতে অন্দরের মলিনতা দূর হয়ে যায়, তা-ই এখন দেখার। নতুবা ২০২১-এর আগে বুমেরাং হতে পারে বিজেপিতে।
তৃণমূলছুট লোকদের নিয়ে সম্ভব হবে না বাংলা-জয়
২০২১ নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলায় প্রতিষ্ঠা পাওয়া যখন বিজেপির এক ও অদ্বিতীয় লক্ষ্য, তখন অন্দরের এই চাপা ক্ষোভ দূর করে সকলকে নিয়ে এগোতে হবে। তা না হলে স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে। বাংলা দখল সম্ভব হবে না বিজেপির পক্ষে। শুধু তৃণমূলছুট লোকদের নিয়ে সম্ভব হবে না বাংলা-জয়।
তৃণমূলে 'দুই স্রোত’ মিলিয়ে দিতে আসরে মন্ত্রী! অন্দরের লড়াই রুখতে ২০২১-এর আগে উদ্যোগ