দিলীপের অবস্থান জল্পনার মাঝেই বিস্ফোরক পোস্ট! নিশানায় কি মুকুল-কৈলাশ
শুধু তৃণমূলেই নয়, ২০২১ নির্বাচনের আগে বিজেপিতেও কোন্দল চরমে। হঠাৎ করেই বঙ্গ বিজেপির দুই সেনাপতির ডানা ছাঁটা হয়েছে।
শুধু তৃণমূলেই নয়, ২০২১ নির্বাচনের আগে বিজেপিতেও কোন্দল চরমে। হঠাৎ করেই বঙ্গ বিজেপির দুই সেনাপতির ডানা ছাঁটা হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডানহাত বলে পরিচিয় রাজ্য কমিটির সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের পর থেকেই জটিলতা তীব্র আকার নেয়। তারপর দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত সহায়কের এক পোস্টই নাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপিকে।
দিলীপবাবুর ব্যক্তিগত সচিবেরতাৎপর্যপূর্ণ বার্তা
দিলীপ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণে দিলীপ ঘোষ নিজেও ক্ষুণ্ণ হন। বিজেপি হাইকম্যান্ডের এই সিদ্ধান্তের ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও রটনা শুরু হয়ে যায়। তাঁর অনুগামীরাও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দিলীপদাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে। তখনই দিলীপবাবুর ব্যক্তিগত সচিব পোস্ট করেন তাৎপর্যপূর্ণ এক বার্তা।
বর্গি দেশের উজির আর তাঁর পেয়াদা কে, জল্পনা
দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক দেব সাহা ফেসবুকে লেখেন- "বর্গি দেশের এক উজির বারবার পশ্চিমবঙ্গ আঘাত হানছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে সঙ্গে আছে কিছু বর্গি পেয়াদা।" ফেসবুকে এই পোস্টের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত সচিব বর্গি দেশের উজির আর তাঁর পেয়াদা বলতে কাকে বুঝিয়েছেন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়।
সৌমিত্রর সঙ্গে দিলীপের সংঘাত যখন চরমে
বিজেপিতে এই পোস্ট নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যাওয়ার পর ফেসবুক ওয়াল থেকে তা সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জল্পনার শেষ হয়নি। কিছুদিন আগেই সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সংঘাত চরমে উঠেছিল। দিলীপ ঘোষ তাঁর পদাধিকার প্রয়োগ করে সৌমিত্রর গড়া কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন। তারপর দিলীপ-ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বিজেপির রাজ্যস্তরের সংগঠনের দায়িত্ব ছিলেন।
বিজেপিতে বর্গিহানা বলে কোন ঘটনার তুলনা
এই ঘটনাকেই কি বিজেপিতে বর্গিহানা বলে তুলনা করেছিলেন দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক? বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই আঘাত নাকি কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বিজেপির পর্যবেক্ষক হয়ে মুকুল রায় ও তাঁর অনুগামীদের গুরুত্বের আসনে বসানোকও তাক করেছেন দিলীপের সহায়ক, তা স্পষ্ট নয়।
বিজেপিতে পরিবর্তনের বাদ্যি বেজে গিয়েছে ফের!
এখানে উল্লেখ্য, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ায় যেমন দিলীপের শক্তি খর্ব করা হয়েছে, তেমনি কৈলাশের ডানা ছেঁটে মকুল রায়েও শক্তিও হরণ করা হয়েছে। মুকুল ও দিলীপের এভাবে শক্তি হরণ করে বিজেপির কী ফায়দা তা নিয়েও চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। এমতাবস্থায় বিজেপিতে পরিবর্তনের বাদ্যি বেজে গিয়েছে ফের।
রাহুল-দিলীপকে কোণঠাসা করে কি ফায়দা বিজেপির!
দিলীপ ঘোষের পদত্যাগ নিয়ে যেমন জল্পনা চলছে, তেমন আরও একটি জল্পনা শুরু হয়েছে, দিলীপকে রেখে একজন কার্যনির্বাহী সভাপতি বসানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষকে অপসারিত না হতে হলেও, তাঁর ক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে। সেখানেও প্রশ্ন প্রথমে রাহুল তারপরে দিলীপকে কোণঠাসা করে কি বিজেপির আদৌ কোনও ফায়দা হবে!
পোস্ট কি কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়কে টার্গেট করেই
এদিকে
রাজনৈতিক
মহলের
একাংশ
মনে
করছে
দিলীপ
ঘোষের
আপ্ত
সহায়কের
ওই
পোস্ট
কৈলাশ
বিজয়বর্গীয়
ও
মুকুল
রায়কে
টার্গেট
করেই।
তিনি
বর্গি
দেশের
উজির
বলতে
কৈলাশকে
বুঝিয়েছেন
আর
বর্গির
পেয়াদা
বলতে
মুকুল
রায়কে
বুঝিয়েছেন।
এ
প্রসঙ্গে
দিলীপ
বলেন,
দেব
ছোটো
ছেলে।
রাজনীতিতে
অপরিণত,
ও
ভেবে
কিছু
লেখেনি।
তার
পোস্ট
নিয়ে
ভুল
ব্যাখ্যা
হচ্ছে।