বিজেপিতে কোন্দল চরমে, ফের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অব্যাহতি চাইলেন দুই নেতা
ফের বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্য চলে এল। আবারও সেই মুর্শিদাবাদে বিজেপি ঘরোয়া কোন্দলে বিব্রত হল। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এবার দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন বিজেপির দুই নেতা।
ফের বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্য চলে এল। আবারও সেই মুর্শিদাবাদে বিজেপি ঘরোয়া কোন্দলে বিব্রত হল। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এবার দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন বিজেপির দুই নেতা। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা দল থেকে অব্যহতি চাইলেন। এর আগে বিজেপি থেকে ইস্তফা দেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ, বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র ও রাজ্য কমিটির আরও দুই সদস্যও।
ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি!
রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ হালদার ও জেলা কার্যকরী সমিতির সদস্য তড়িৎ সরকার ক্ষোভ উগরে দেন জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের বিরদ্ধে। তারপর তাঁরা দল থেকে অব্যহতি চান। জেলায় জেলায় যেভাবে বিক্ষোভ দানা বাঁধছে, তাতে রাজ্যে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি! মুখ থুবড়ে পড়েছে তাদের সংগঠন।
জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ মুর্শিদাবাদ বিজেপিতে
সম্প্রতি বাংলার দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। তার মধ্যে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি আসানসোলেও গোহারা হয়েছে বিজেপি। বালিগঞ্জে একেবারে দূরবর্তী তৃতীয় স্থান নিয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় দলের অন্দরে কোন্দল ফের তীব্র আকার নিয়েছে। দলের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে নেতৃত্ব। নাম না করে সুকান্ত-শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ শানানো চলছে বঙ্গ বিজেপিতে। আবার জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে অনেকে।
বিজেপির অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্ব
কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদে এবং নদিয়ায় দলকে অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন বিধায়ক-নেতারা। আবারও বিজেপির অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্ব। সম্প্রতি বিজেপির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্রও সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। রাজ্য কমিটির আরও দুই সদস্যও পদত্যাগ করেছেন। তারপর নদিয়ায় একসঙ্গে ১০ জন পদাধিকারী সরে দাঁড়ান বিজেপি থেকে।
জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপিতে
আবার মুর্শিদাবাদের দুই নেতা বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন। তাঁরা বিজেপি থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁরা চাউলের পদ থেকে অব্যাহতি। ফলে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে বঙ্গ বিজেপিতে। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত? জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাঁদের। দলের মধ্যে একনায়কতন্ত্র এবং স্বেচ্ছাচারিতা চলছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপিতে
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে বিজেপিতে দ্বন্দ্ব চলছে। ৫১ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ১৮ জনের নামই বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে একাধিকবার জানিয়েও কাজ হয়নি। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারপর রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপিতে। সম্প্রতি সৌমিত্র খাঁ এবং অনুপম হাজরাও বিজেপিকে বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।