তৃণমূলের বহিরাগত আন্দোলনে কি পিছু হটল বিজেপি, একুশে বাংলা থেকে দায়িত্বে কারা
তৃণমূলের বহিরাগত আন্দোলনে কি পিছু হটল বিজেপি, একুশে বাংলা থেকে দায়িত্বে কারা
বাংলার ভোটে ভিনরাজ্যের নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি। মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষদের উপর ভরসা না রেখে পাঁচ নেতাকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল বাংলার পাঁচ জোনের দায়িত্বে। এরপর তৃণমূলের বহিরাগত কটাক্ষ শুরু করতেই কি শেষে পিছু হটল বিজেপি? বাংলার দায়িত্বে বাংলার নেতারাই- বিজেপির এই বার্তায় শুরু হল জল্পনা।
বাংলার ভোট বাংলার নেতারাই করবেন, বলছে বিজেপি
বাংলায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধি হয়ে এসেছিলেন সুনীল দেওধর। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার ভোট বাংলার নেতারাই করবেন। ভিনরাজ্যের নেতারা করবেন না। ভিনরাজ্যের নেতাদের উপর একটা বিশেষ রিপোর্ট তৈরি করতে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেই রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছেন। আমিও রিপোর্ট তৈরি করেছি। অমিত শাহকে সেই রিপোর্ট জমা দেব।
পাঁচটি জোনের দায়িত্ব বাংলার পাঁচ নেতার উপর
সুনীল দেওধরের কথায়, আবার যদি পরে কোনও বিশেষ নির্দেশ দিয়ে আমাদের পাঠানো হয় বাংলায়, আবার আমরা আসব। যেভাবে জোন করে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছিল, সেভাবেই পাঁচটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলার পাঁচ নেতার উপর। এখন থেকে তাঁরা দেখবেন এই জোনের কাজ।
পাঁচটি জোনের দায়িত্বে বাংলার কোন ৫ নেতা
বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, বাংলাকে মোট পাঁচটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, নবদ্বীপ, মেদিনীপুর ও কলকাতা। উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সায়ন্তন বসুকে। রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, নবদ্বীপ জোন দেখবেন বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বে জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো এবং কলকাতা জোনের দায়িত্ব সামলাবেন সঞ্জয় সিংহ।
তৃণমূল বহিরাগত ও অবাঙালি প্রতারে পিছু হটল বিজেপি!
এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠেছে ফলাও করে ভিনরাজ্যের পাঁচ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাহলে তাঁদের কেন সরানো হল, কেনই বা তাঁদের আর ময়দানে নামানো হচ্ছে না? তৃণমূল বহিরাগত ও অবাঙালি নেতাদের ব্যবহার নিয়ে প্রচার শুরু করেছিল বলেই বিজেপি পিছু হটল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বিজেপির পরাম্পরা, দুটি পথই খোলা রাখলেন সুনীল
সুনীল দেওধর বলেছেন, বাংলার নেতারাই ভোট পরিচালনা করবেন। তবে প্রয়োজন মতো অন্য রাজ্য থেকেও অনেকে আসতে পারেন। এটাই বিজেপির পরাম্পরা। সুনীল তাঁর বক্তব্যে দুটি পথই খোলা রেখেছেন। এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট তৃণমূলের প্রচারের ফলে পিছু হটে বাংলার নেতাদেরও দায়িত্বে রাখা হল।
প্রথম দফায় বাংলার পাঁচ জোনে ছিলেন যে ৫ বহিরাগত
বিজেপি সুনীল দেওধরকে মেদিনীপুর জোনের দায়িত্ব দিয়েছিল। এছাড়াও দুষ্মন্ত গৌতম, বিনোদ তাওড়ে ও বিনোদ সোনকার যথাক্রমে কলকাতা, নবদ্বীপ ও রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বে এসেছিলেন। উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হরিশ দ্বিবেদীকে। তিনি না আসায় অমিতম মালব্য উত্তরবঙ্গের রিপোর্ট তৈরি করে পাঠিয়েছেন অমিত শাহের কাছে।
আরও পাঁচজনকে আনা হয়েছিল পাঁচটি জোনের দায়িত্বে
এরপর আরও পাঁচজনকে আনা হয়েছিল পাঁচটি জোনের দায়িত্বে। তাঁরা হলেন কলকাতায় সুনীল বনশল, মেদিনীপুরে পবন রানা, রাঢ়বঙ্গে রবিন্দর রাজু, নবদ্বীপে ভিখুভাই দলসনিয়া এবং উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে রত্নাকর। সুনীল দেওধর জানিয়েছেন, ভিনরাজ্যের নেতারা আসবেন-যাবেন, বাংলার ভোট সামলাবেন বাংলার ঘরের ছেলেরাই।
সিপিএম থেকে লোক যাচ্ছে বিজেপিতে! শুভেন্দুর নাম না করে বার্তা, নতুন স্লোগান পার্থর মুখে