দরজা খোলা বিজেপির, তৃণমূলের হাটে হাঁড়ি ভাঙতে ভারতীই তুরুপের তাস
যে কোনও উপায়েই হোক প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষকে বুঝিয়ে নিজেদের দলে আগ্রহী বিজেপি। ভারতী ঘোষের কাছে থাকা তৃণমূল সম্পর্কে যাবতীয় গোপন তথ্য ব্যবহার করে তৃণমূলকে প্রসঙ্গহীন করতে চায় বিজেপি।
যে কোনও উপায়েই হোক প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষকে বুঝিয়ে নিজেদের দলে আগ্রহী বিজেপি। ভারতী ঘোষের কাছে থাকা তৃণমূল সম্পর্কে যাবতীয় গোপন তথ্য ব্যবহার করে তৃণমূলকে প্রসঙ্গহীন করতে চায় বিজেপি।
বিজেপি নেতাদের যুক্তি, প্রাক্তন আইপিএসকে রাজনৈতিক মঞ্চ দেওয়ার মাধ্যমে তৃণমূল সম্পর্কে অস্বচ্ছন্দ অর্থাৎ গোপন তথ্য সবার সামনে আনার ব্যবস্থা করা। অনেকটা যে রকম করছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার অভিযোগ, তৃণমূল কোনও ব্যক্তিকে ব্যবহার করা হয়ে গেলেই অর্থাৎ প্রয়োজন ফুরালেই ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তিনি নিশ্চিত যে ভারতী ঘোষও বিষয়টি বুঝতে পারছেন। সেইজন্য যদি তিনি চান, তাহলে তার জন্য বিজেপির দরজা খোলা। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরেই এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির নেতা রাহুল সিনহা।
ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর তাঁকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন রাজ্যে তাদের দল পাঠিয়েছে সিআইডি। ভারতী ঘোষের একাধিক বাসভবন ছাড়াও, তাঁর কাছে লোক, পরিজনদের বাড়িতেও সিআইডি তল্লাশি জারি রয়েছে। অডিও বার্তার মাধ্যমে ভারতী ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যা বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি, তা আয়কর বিভাগের কাছে দেওয়া আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, ভারতী ঘোষ তৃণমূলের অনেক গোপন তথ্য জানেন। ফলে তিনি যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে বাংলার রাজনীতি অসহায় অবস্থায় পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই জন্যই রাজ্য সরকার ভারতী ঘোষকে গ্রেফতার করতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন ওই বিজেপি নেতা। বিষয়টির ওপর বিজেপি কড়া নজর রাখছে বলেও মন্তব্য করেছেন ওই বিজেপি নেতা।
২৮ ডিসেম্বর পদ থেকে ইস্তফা দেন ভারতী ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের পদ থেকে সরিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের কমান্ডান্ট পদে বদলির পরেই ইস্তফা দেন তিনি।
এরপরেই প্রাক্তন এই আইপিএসের বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে গুঞ্জন শুরু হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও ভারতী ঘোষের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, যদি তিনি(ভারতী ঘোষ) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে বিষয়টি তাঁরা চিন্তাভাবনা করবেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ।