মুকুল রায় গুরুত্বের আসন পেতেই বিজেপি তিনটি ভাগে বিভক্ত, একুশের আগে অশনি সংকেত
মুকুল গুরুত্বের আসন পেতেই বিজেপি তিনটি ভাগে বিভক্ত, একুশের আগে অশনি সংকেত
বিজেপিতে এখন তিনটি স্রোত! মুকুল রায় গুরুত্বের আসন পেতেই বঙ্গ বিজেপিতে বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যতদিন মুকুল রায় পদহীন ছিলেন, ততদিন বিজেপিকে তবু একত্রিত মনে হত। কিন্তু মুকুল রায় গুরুত্বের পদ পেতেই বিজেপি এখন তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। তিন স্রোত এক জায়গায় না মিললেই বিপদ ঘনিয়ে আসবে ২০২১-এ।
বিজেপির পয়লা নম্বর লক্ষ্য মিশন বেঙ্গল
বিজেপি পাখির চোখ করেছে ২০২১-এর নির্বাচনকে। যে কোনও মূল্যে তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলার ক্ষমতায় দখলই বিজেপির পয়লা নম্বর লক্ষ্য। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি মুকুল রায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বিজেপি মনে করছে একমাত্র মুকুল রায়ই পারেন তৃণমূলকে ভেঙে তছনছ করে দিয়ে বাংলায় বিজেপিকে প্রতিষ্ঠিত করতে।
মুকুলের পদোন্নতিতে বিভাজন স্পষ্ট বঙ্গ বিজেপিতে
সেই কারণেই মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় সহসভাপতির আসন দিয়েছে বিজেপি। আর মুকুল-ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরাকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ দিয়ে ৪০ বছর ধরে বিজেপির সেবা করা রাহুল সিনহাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাতেই বিভাজন রেখা স্পষ্ট হয়ে যায় আরও। দিলীপ ঘোষ শিবিরও মুকুলের এতটা গুরুত্ব বৃদ্ধিতে খুশি নয়।
রাহুলের বাদ পড়ায় হতাশায় বিজেপির আদিরা
বিজেপির জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর রাহুল তো আবার সরাসরি জানিয়েছেন, "৪০ বছর ধরে আমি বিজেপির সেবা করেছি। আমি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সর্বদা দলের সৈনিক হয়ে কাজ করে গিয়েছি। আজ আমাকে আমার পদ ছাড়তে হবে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতা আসছেন। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছুই হতে পারে না! এটাই কি পুরষ্কার? "
বিজেপিতে মুকুলের উত্থান, রাহুলের সমাপতন হয়েছে
এরপর রাহুল সিনহা টুইট করেছিলেন এবং বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। জানিয়েছিলেন আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে তিনি দলে থাকবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যদিও তারপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি দিল্লি গিয়েছেন। কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তন হয়ন রাহুলের। বিজেপিতে মুকুলের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে রাহুলের সমাপতন হয়েছে।
বিজেপির তিনটি দল কাদের নিয়ে, একনজরে
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিজেপির বেঙ্গল ইউনিট বর্তমানে তিনটি দলে বিভক্ত। একটি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এবং আরএসএসের সমর্থিত। দ্বিতীয় দলটি তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতা-নেত্রী সমন্বিত মুকুল রায়ের নেতৃত্বে এবং তৃতীয়টি রাহুলের পছন্দ অনুসারে পুরানো প্রহরীদের নিয়ে এবং অন্যান্য যাঁরা মনে করেন যে পার্টিটি তৃণমূলের প্রাক্তন নেতারা নিয়ে নিয়েছেন।
২০২১-এর আগে বুমেরাং হবে না তো বিজেপির
বেশ কিছুদিন ধরেই মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনায় ভাটা পড়ে তাঁর পদোন্নতি হওয়ার পর। তাঁকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই করা হয়েছে। তা এবার বুমেরাং হয়েছে, কারণ তৃণমূলের প্রাক্তন নেতাদের আরও দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট বিজেপি আদি নেতারা।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা এলটিসির সুবিধা কিভাবে পাবেন! একনজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য