বিজেপি বিভাজন লুকিয়ে রাখতে পারছে না বাংলায়, রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে নিয়েও বেআব্রু ঐক্য
বিজেপি বিভাজন লুকিয়ে রাখতে পারছে না বাংলায়, রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে নিয়েও বেআব্রু ঐক্য
বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর সমর্থনে ভোট চেয়ে মঙ্গলবারই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেলার কৌশলী ভূমিকাতেও বিজেপির ঐক্য অধরা রইল। দিলীপ-শুভেন্দুরা উপস্থিত থাকলেও এককভাবে সুকান্ত মজুমদারই সাংবাদিক বৈঠকে করে তা জানালেন।
দিলীপ ছিলেন, তবু একা সুকান্ত
ঠিক ছিল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জন্য সমর্থন চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধীদের যে চিঠি লেখা হচ্ছে, তা যৌথভাবে জানাবেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীরা। কিন্তু আদতে দেখা গেল সুকান্ত মজুমদার একাকী সাংবাদিক বৈঠক করলেন। অথচ বিজেপির পার্টি অফিসে তখন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তবু বাংলায় সঙ্ঘবদ্ধ নয় বিজেপি
বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাংলায় বেড়েই চলেছে। বাংলায় বিজেপি একের পর এক হারের পরও সঙ্ঘবদ্ধ নয়। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের শিবিরের মতবিরোধ সামনে এসেছে বারবার। এদিনও তেমনই ছবি প্রকট হল। সুকান্ত মজুমদার যখন একতলায় সাংবাদিক বৈঠক করছেন, তখন দোতলায় উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে দেখা গেল না সুকান্তের পাশে বসে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হতে।
শুভেন্দুকেও দেখা যায়নি সুকান্তের পাশে
এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু তাঁকে দেখা যায়নি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এদিন দেখা গেল না সুকান্ত মজুমদারের পাশে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সই থাকছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার উভয়েরই।
বিজেপি অফিসে হাজির আদি-নব্য সকলেই
সাংবাদিক সম্মেলনের বিষয় যেহেতু সর্বভারতীয়, তাই দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতিও উপস্থিত থাকবেন, তা ধরে নেওয়াই যায়। তারপ যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করার কথা জানানোও হয়েছিল। শেষমেশ একা সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। উল্লেখ্য, এদিন রাজ্য পার্টি অফিসে বিজেপির প্রথম রাজ্য সভপাতি হরিপদ ভারতীর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে রাহুল সিনহা-সহ সমস্ত আজি ও নব্য পার্টি নেতৃত্ব।
সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে বিজেপি
সম্প্রতি বারবার দিলীপ ঘোষকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি থেকে সেই অভিযোগ উঠছে। দিলীপ ঘোষকে সম্প্রতি সেন্সর করাও হয়েছে। তাঁর মুখে কুলুপ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই বিচারে অবশ্য তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তাঁকে যে দলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, দল যে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলছে না, তা বারবার প্রকট হয়ে উঠছে। জেপি নাড্ডার সতর্কীকরণের পরও সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে বিজেপি।
পাহাড়ে পালাবদল! হামরো পার্টিকে টেক্কা দিয়ে জিটিএ নির্বাচনে জয়ের পথে বিজিপিএম