মুকুল তৃণমূলে যাওয়ার পরও বিজেপিতে আড়াআড়ি বিভাজন, শুভেন্দু-দিলীপ দু-ভাগ
মুকুল তৃণমূলে যাওয়ার পরও বিজেপিতে আড়াআড়ি বিভাজন, শুভেন্দু-দিলীপ দু-ভাগ
মুকুল রায় তৃণমূলে নাম লেখানোর পরও বিজেপিতে বিভাজন রেখা ঘুচল না। মুকুল বিজেপিতে অস্ত যাওয়ার পর দিলীপ বনাম শুভেন্দু দ্বৈরথ অব্যাহত। মুকুল প্রশ্নে তাঁদের মতবিরোধী প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এমনকী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও তাঁদের মতের অমিল স্পষ্ট। তিন শিবিরের তিন ধরনের মতে বিজেপি কার্যত দিশেহারা।
তিন শিবিরের তিন রকম অবস্থান মুকুল ইস্যুতে
মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের হুমকি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দিলীপ ঘোষ মুকে কুলুপ এঁটেছেন এই ইস্যুতে আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চান না মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করতে। তিন শিবির তিন রকম অবস্থান নিয়েছে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে।
বিজেপি থেকে এবার আবর্জনা দূর করব আমরাই
মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষের মধ্যে সে অর্থে কোনও হেলদোল ছিল না। তাঁর কথায় কোনও উদ্বেগও ধরা পড়েনি। তিনি বলেন, কারা থাকবেন, কারা থাকবেন না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আয়ারাম-গয়ারামদের নিয়ে বিজেপি চলে না। বিজেপি থেকে এবার আবর্জনা দূর করব আমরাই।
দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে তৎপর শুভেন্দু
আর মুকুল চলে যাওয়ার পর শুভেন্দু রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে তোপ দেগেছিলেন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বলেন, আমি বিরোধী দলনেতা হয়ে বলছি, এই আইন কার্যকর করে আমি দেখাবো।
দিলীপ ঘোষ নিষ্পৃহ থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনিই বস
দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, সবে মাত্র দল ছেড়েছেন। এখনও বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি। বিধানসভা অধিবেশন শুরু হোক। আমরা দেখি মুকুল রায় কী অবস্থান নেন, তারপর আমরা ভেবে দেখব। দিলীপ ঘোষ নিষ্পৃহ থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর কথাকে বিশেষ আমল দিচ্ছেন না। কেননা শুভেন্দু অধিকারী নন, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
প্রসঙ্গ : বৈশালী ডালমিয়া চিঠি শুভেন্দু অধিকারীকে
এর আগেও মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর বৈশালী ডালমিয়া শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি লিখে লিখে দল জঞ্জালমুক্ত করার আর্জি জানিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গেও কথা উঠেছিল, শুভেন্দু অধিকারীকে কেন তিনি চিঠি লিখে দলের শুদ্ধিকরণের বার্তা দেবেন। তিনি তো পদাধিকারী নন। যদি কোনও আর্জি জানাতে হয় জানাবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। দিলীপ ঘোষ তাই সুযোগ পেলেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন সেকথা।